আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ১০ জুলাই: মৃত ব্যক্তিদের নামে রেশন তুলে দীর্ঘদিন ধরে তা আত্মসাৎ করছেন রেশন ডিলার। এমনকি সাতজন জীবিত উপভোক্তার কার্ড নিজের হেফাজতে রেখে রেশন সামগ্রী আত্মসাৎ করছিলেন ওই ডিলার। শেষে উপভোক্তাদের আন্দোলনের চাপে বকেয়া রেশন সামগ্রী ফেরত দেওয়ার মুচলেকা দেন ডিলার।
জানা গিয়েছে, ময়ূরেশ্বর ১ নম্বর ব্লকের দক্ষিণগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের পাখুড়িয়া গ্রামের রেশন ডিলার ভাসু কুমার পাল দীর্ঘদিন ধরে রেশন সামগ্রী আত্মসাৎ করছিলেন বলে অভিযোগ। এনিয়ে খাদ্য সরবরাহ আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন উপভোক্তারা। কিন্তু তাতেও কাজ না হওয়ায় শুক্রবার ডিলারের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন উপভোক্তারা। খবর পেয়ে গ্রামে যায় মল্লারপুর থানার পুলিশ এবং বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায়।
গ্রামের বাসিন্দা তাপস বাগদি বলেন, “রেশন ডিলার ৬০ জন মৃত ব্যক্তির রেশন সামগ্রী নিয়মিত তুলে আত্মসাৎ করছেন। প্রায় ২৫ জনের নামে দুটো কার্ড বানিয়ে একটি কার্ডের সামগ্রী আত্মসাৎ করছেন। এমনকি বেশ কিছু মানুষের কার্ড দফতর থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হলেও ডিলার তা নিজের হেফাজতে রেখে সামগ্রী আত্মসাৎ করতে থাকেন। আমরা অনলাইনে বিষয়টি জানতে পেরে বিডিও এবং খাদ্য দফতরের আধিকারিককে লিখিতভাবে জানাই। কিন্তু কোনও সদুত্তর পায়নি। বাধ্য হয়ে আমরা বিক্ষোভ দেখিয়েছি।
দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ চলার পর ডিলার ভাসু কুমার পাল মুচলেকা দিয়ে জানান, অচলা দাস, অমিত দাস, বিনয় দে, সত্যকিঙ্কর দে, নয়ন দে, সন্দীপ দে ও মনিকা দাসের ৩ কুইন্টাল ৬৬ কেজি চাল, ১ কুইন্টাল ১৭ কেজি গম এবং ৩ কুইন্টাল ৩৩ কেজি আটা ১৬ জুলাই সকাল আটটার মধ্যে দিয়ে দেবেন। সেই মুচলেকায় সাক্ষর করেন ব্লক খাদ্য সরবরাহ আধিকারিক”। যদিও এনিয়ে সংবাদ মধ্যমের কাছে মুখ খুলতে চাননি ডিলার ভাসু কুমার পাল।
অতনুবাবু বলেন, “এলাকার অধিকাংশ রেশন ডিলার অসৎ উপায়ে প্রকৃত প্রাপকদের রেশন সামগ্রী আত্মসাৎ করছেন। এর আগেও আমরা প্রশাসনকে দুর্নীতির ধরিয়ে দিয়েছি। কিন্তু দুর্নীতির সঙ্গে শাসক দল যুক্ত থাকায় প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নিতে পারছে না’।