
আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হল মঙ্গলবার সাত সকালে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের বেলদায় বাসের ধাক্কায় আহত ১৭ বছরের কিশোরের। বেলদা গ্রামীন হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কটকে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যায় সুদীপ জানা নামে ওই কিশোর। পরে তাকে ফিরিয়ে আনা হয় বেলদা থানায়। সেখান থেকে তার মৃতদেহ খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে ময়নাতদন্তের জন্য।
সুদীপের বাড়ি স্থানীয় খটনগর এলাকার রানীপুরে। সকালবেলায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে মনোহরপুর বাজারে রাধেশ্যাম দাসের বাইক মেরামতির দোকানে কাজ করতে যাচ্ছিল সুদীপ। সকাল ৮.১৫ নাগাদ বাড়ি থেকে দোকানে যাওয়ার পথে ৬০নম্বর বালেশ্বর-রানীগঞ্জ জাতীয় সড়কে এক সাইকেল আরোহীকে ধাক্কা মেরে উল্টে যায় বেলদা থেকে মোহনপুর গামী একটি বাস। ঘটনায় ২৪জন বাসযাত্রী আহত হয়েছেন।
বাসযাত্রীরা জানিয়েছেন, বাস স্টপেজের কিছু আগেই সাইকেল আরোহী সুদীপকে ধাক্কা মারে বাস চালক। সাইকেল আরোহী সুদীপকে ধাক্কা মারার জন্য দায়ী করা হয় চালকের অন্যমনস্কতাকে। এরপর যাত্রী ও কন্ডাক্টর, বাসের হেল্পার চালককে বাস থামাতে বললেও চালক বাস থামায়নি।
বাসটি এগিয়ে যেতে থাকে রাস্তা বরাবর এবং বেশকিছুটা যাওয়ার পর উল্টে যায় বাসটি। ঘটনা দেখতে পেয়েই ছুটে আসেন বাসস্টপেজে অপেক্ষমান যাত্রী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রাথমিক উদ্ধার কার্য শুরু করেন তারাই। আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয় বেলদা গ্রামীণ হাসপাতালে। সুদীপকেও প্রথমে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থা খারাপ হলে তাকে কটকে স্থানান্তরিত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে নিয়ে যাওয়ার আগে পথেই তার মৃত্যু হয়।