নীল বনিক, ১৬ এপ্রিল: লকডাউনে মানুষের পাশে যেসব বিজেপি নেতারা দাঁড়াচ্ছেন তাঁদের নামের তালিকা তৈরি করছে দিল্লি। যারা ভালো কাজ করছে তাঁদেরই প্রকৃত নিষ্ঠাবান কর্মী বলে ধরা হবে। আগামীদিনে সেইসব নিষ্ঠাবান কর্মীদের দলে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হবে।
লকডাউনে রাজ্যের দু:স্থ মানুষের সহযোগিতা করার কর্মসূচি ঠিক করেদিয়েছেন সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। দলের নির্দেশ কার্যকর্তারা মানছেন কি না তার ওপর কড়া নজরদারি করছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। লকডাউনের জন্য দলের প্রতিটি নেতাকে পাঁচটি পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানিয়েছেন জেপি নাড্ডা। দলের সর্বভারতীয় সভাপতির নির্দেশ বঙ্গ বিজেপির নেতারা মানছেন কিনা, তাও স্ক্যান করছেন জেপি নাড্ডার বিশেষ টিম। এমনকি লকডাউনের সময় বঙ্গ বাজেপির কোন নেতারা মানুষের কাছে ত্রাতা হচ্ছেন তাও বিশদে খোঁজ নিচ্ছেন।
তবে জনসেবা করে ছবি তুলে সোস্যাল মিডিয়ায় নিজেকে তুলে ধরাটা খুব একটা ভালো চোখে দেখছেন না দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। দলের প্রত্যেক স্তরের কর্মীদের জন্য আলাদা আলাদা কর্মসূচি ঠিক করে দিয়েছে দিল্লি। যেমন মহিলামোর্চার সদস্যাদের বাড়িতে বসে মাস্ক তৈরির কথা জানিয়েছে দিল্লি। প্রতিদিন ১০ -২০টি মাস্ক বাড়িতে বসে তৈরি করতে হবে। তারপর সেই মাস্ক মানুষের মধ্যে বিলি করার নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লি। এরাজ্যে সেইসব কাজ হচ্ছে কিনা, তার খোঁজ নিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতির বিশেষ টিম।
কেন্দ্রীয় নেতারা মনে করছেন দিল্লির কর্মসূচি যারা সঠিকভাবে পালন করেছেন তারাই দলের নিষ্ঠাবান কর্মী। আগামীদিনে দলের কাজ করাতে এইসব নিষ্ঠাবান কর্মীর প্রয়োজন পড়বে। সেইজন্য কনোনার সময় মানুষের পাশে থাকা নেতাদের তালিকা তৈরি করে রাখবে দলের সর্বভারতীয় সভাপতির টিম।
এইসময় বঙ্গ বিজেপির রাজ্য কমিটি থেকে জেলা কমিটির ত্রাতাদের নামের তালিকা করবে দিল্লি। যাদের জনসংযোগ সব থেকে ভালো তাদের আগামী দিনে দলের কাজে লাগানো হবে বলে দলীয় সূত্রের খবর। তবে কেন্দ্রীয় নেতাদের এমন পর্যবেক্ষণ নিয়ে প্রকাশ্যে বঙ্গ বিজেপির নেতারা মুখ খুলতে চাইছেন না। তারা বলছেন দলের নির্দেশের পর সবাই কাজ করছেন। অবশ্যই নেতৃত্বর সাধ্যের মধ্যে– বলে জানাচ্ছেন বিজেপির এরাজ্যের নেতৃত্ব।