রেড রোডে ঈদের নমাজ বাংলায় পড়ার দাবি সংখ্যালঘুদের মধ্যেই

অশোক সেনগুপ্ত, আমাদের ভারত, ২৪ এপ্রিল: এবার রেড রোডে ঈদের নামাজ বাংলায় পড়ার দাবি উঠল সংখ্যালঘুদের মধ্যে থেকেই। তবে, এ নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। সামাজিক মাধ্যমে বেড়ে চলেছে পক্ষে-বিপক্ষে মতামত।

সুজাউদ্দিন শেখ নামে এক নেটনাগরিক লিখেছেন, “কলকাতার রেড রোডে ঈদের নমাজের খুতবা উর্দু বা হিন্দিতে না হয়ে বাংলাতে হোক। এটা বাংলা।”
প্রতিক্রিয়ায় ইমতিয়াজ আহমেদ লিখেছেন, “আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী তো রেড রোডে হিন্দিতেই ভাষণ দিলেন।” আসিফ ইকবাল লিখেছেন, “মাননীয়া হিন্দি বললেন এটার ব্যাপারে কমেন্ট করুন?”

বিপরীত ভাবনায় আব্দুল তৌহিদ বার লিখেছেন, “এটা মাননীয়া যদি বলেও ফেলে তাও হবে না, কারণ ৮০% অবাঙালি লোকাল লোক।” শেখ সুজাউদ্দিন লিখেছেন, “কলকাতা শহরের ৬০ শতাংশ মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলেন না। তার কী হবে? জবাবে সুজাউদ্দিন শেখ লিখেছেন, “বাংলা বোঝেন।”

পাল্টা শেখ সুজাউদ্দিন লিখেছেন, “বাংলা বুঝি বলেই তো বললাম। তাছাড়া বাংলা তোমাকে বোঝানোর ক্ষমতাও রাখি। আমি বাঙালি, তবে তোমার মতো ভন্ড বাঙালি না। তুমি যদি বাংলাটা ভালো বুঝতে তাহলে এমন বালখিল্যের মতো দাবি করতে না। নমাজ আরবিতেই পড়া হয়। সেটাও বাংলায় পড়ার দাবি করবে নাকি?” বাংলায় পড়ার দাবি খারিজ করে মহামুদুল হাসান লিখেছেন, “আরে ভাই ওখানে বাংলা ভাষা বোঝার মানুষ কম।”

ইমতিয়াজ আহমেদ লিখেছেন, “ওরা বাংলা বোঝে। কিন্তু বলতে চায় না।” মহামুদুল হাসান লিখেছেন, “এতে অসুবিধা কোথায়?” ইমতিয়াজ আহমেদ লিখেছেন, “অসুবিধার তো নেই। আমার তো হিন্দি বা উর্দু বলতে বেশ ভালোই লাগে। কিন্তু যেহেতু এটা বাংলা। সবাই যদি হিন্দি/উর্দু বলতে ব্যস্ত হয়ে যায়, তাহলে বাংলা ভাষাটার কী অবস্থা হবে?”

কেএম সরকার লিখেছেন, “খুব ভালো কথা তাহলে নমাজে ব্যবহৃত সুরা গুলোও বাংলাতে হলে কেমন হবে আপনিই বলুন।” মীজানুর রহমান লিখেছেন, “সর্বত্রই হোক।“ সুজাউদ্দিন শেখ লিখেছেন, “কলকাতায় বসবাসকারী সব হিন্দি-উর্দুভাষী মানুষই বাংলা বোঝেন।”

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here