করোনা পজিটিভ রোগীর দেহ নিতে চাইল না পরিবার, সংক্রমণের আশঙ্কা মেডিক্যালে

সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা, ১৪ এপ্রিল: করোনার প্রাথমিক উপসর্গ যে তার রয়েছে, কেস হিস্ট্রিতে তা জানিয়েছিল আগে ভর্তি থাকার সময়ে চিনার পার্কের বেসরকারি হাসপাতালই। পরে তাকে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে এসে চিকিৎসা শুরু করা হয়। চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় ওই বৃদ্ধার। এদিকে মঙ্গলবার রাতে জানা যায়, ওই বৃদ্ধা সত্যিই করোনা পজিটিভ ছিলেন। যদিও তার মৃত্যু করোনার কারণেই হয়েছে কি না, তা নিয়ে সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। কিন্তু এই নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে মেডিক্যাল কলেজে। এদিকে মৃত করোনা পজিটিভ রোগীর দেহ নিতে অস্বীকার করেছে তার পরিবারও।

এদিকে এনআরএস আর আরজি করের মতো করোনা রোগীকে ভর্তি করার সময় যথাযথ নিয়ম মানা হয়নি বলে এবার সংক্রমণের আশঙ্কায় রোগী এবং চিকিৎসকেরা। করোনার উপসর্গ থাকা এক বৃদ্ধা রোগীকে চিনার পার্কের এক বেসরকারি হাসপাতাল থেকে নিয়ে এসে ভর্তি করা হয়েছিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। জানা গিয়েছে, ৬২ বছরের ওই মহিলা উত্তর ২৪ পরগণার বরানগরের বাসিন্দা। হৃদরোগ এবং কিডনির সমস্যা নিয়ে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন চিনার পার্কের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। ওই হাসপাতালটিই করোনা সংক্রমণের জেরে রবিবার রাতে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তার পরেই ওই মহিলাকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে মহিলাদের মেডিসিন ওয়ার্ডে। জরুরি বিভাগেও কিছুক্ষণের জন্য রাখা হয়েছিল তাকে। করোনা আক্রান্তদের জন্য নির্দিষ্ট সুপার স্পেশালিটি ব্লকের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন ওই মহিলা। সোমবার রাত ৮টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়।

ওই রোগী কার কার সংস্পর্শে এসেছিলেন, তা জানতে গিয়েই প্রকাশ্যে আসে তাঁর ডায়ালিসিস করা হয়েছিল। সেই সময় ওই বেসরকারি হাসপাতালের ডায়ালিসিস কেন্দ্রে আরও ৫ রোগী ছিলেন। তখনই ওই মহিলার মধ্যে করোনা আক্রান্তের বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ নজরে আসে চিকিৎসকদের। তাঁদের সন্দেহ হওয়ায় ওই মহিলাকে স্থানান্তরিত করা হয় সুপার স্পেশালিটি ব্লকের আইসোলেশন ওয়ার্ডে। সেখানেই সোমবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *