আমাদের ভারত, আলিপুরদুয়ার, ১৫ জানুয়ারি: মাছ না মুরগির মাংস। রাতে খাবারের পদ কি হবে? ঠিক এই প্রশ্ন থেকেই বচসা শুরু বাবা ও ছেলের। প্রথমে তীব্র বচসা। শেষে অকথ্য গালাগালি। না তাতেও দমেনি ছেলে। বাড়ির ভারি কাঠের বাটাম দিয়েই বাবার মাথায় জোরে আঘাত করে বসে। তাতেই খুন হয়ে যান বাবা। নজিরবিহীন ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটা থানার অন্তর্ভুক্ত পলাশতলি গ্রামে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে গ্রামে গিয়ে খুনের অভিযোগে এক প্রাক্তন সিআরপিএফ জওয়ানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, মাথা গরম প্রাক্তন সিআরপিএ কর্মী পঙ্কজ হোড়(৩৫)-এর সাথে তার বাবা সুভাষ হোড়(৭০)-র প্রাথমিক অবস্থায় কথা কাটাকাটি হয়। তারপরেই শুরু হয় চরম বচসা।বভারি বাটাম দিয়ে আঘাত করতেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বৃদ্ধ। রক্তাক্ত অবস্থায় সুভাষবাবুকে ফালাকাটা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে পঙ্কজকে উত্তম-মধ্যম দিয়ে একটি ঘরে আটক করেন পলাশতলি গ্রামের স্থানীয় উত্তেজিত জনতা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে প্রাক্তন জওয়ানকে গ্রেপ্তার করে পুলিস।
পঙ্কজের ছোট ভাই দীপঙ্কর হোড় লিখিত অভিযোগ করেন থানায়। স্থানীয় সুত্রের খবর খানিকটা মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ার দরুন বছর খানেক আগে ওই সিআরপিএফ জওয়ানকে আগাম অবসর নিতে হয়েছিল।প্রচন্ড মাথাগরম থাকায় অনেকের সাথে ঝামেলা হত পঙ্কজের। এদিকে, পুলিশ খুনে ব্যবহৃত কাঠের বাটামটি উদ্ধার করেছে। ধৃতকে এদিনই আলিপুরদুয়ার এসিজেএম-২ আদালতে পেশ করা হলে বিচারক সাত দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। জয়গাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন “সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পেশ করা হয়েছে।”