কুমারেশ রায়, আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ১৩ এপ্রিল: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানা এলাকার নিজামপুর গ্রামে বাড়ি ঐ যুবকের। কর্মসূত্রে মুম্বাইয়ে থাকতেন। গত মাসের ২২ তারিখ তিনি বাড়িতে ফেরেন। তারপর অসুস্থ বোধ করলে ঘাটাল হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গেলে তাকে সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় মেদিনীপুরে। গত ২৮ মার্চ তাকে মেদিনীপুর হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। লালারসের নমুনা পাঠানো হয় পরীক্ষার জন্য। তারপর রিপোর্ট এলে জানা যায় তিনি করোনা পজিটিভ। তারপর ৩১ মার্চ কলকাতা বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। এতদিন চিকিৎসা চলার পর রবিবার রাতে সুস্থ্য হয়ে দাসপুরের নিজামপুরে বাড়ি ফেরেন ওই যুবক। দাসপুর থানার ওসি গ্রামে গিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দেন।
ঐ যুবকের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ পৌঁছে দিয়েছে। ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার বাবা এবং স্ত্রীর শরীরেও করোনা সংক্রমন দেখা দিয়েছে। তারা এখনও বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনার পর থেকেই ঐ গ্রাম-সহ আশপাশের এলাকা সংক্রমণমুক্ত করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয় স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে। ওই ব্যক্তি কার কার সংস্পর্শে এসেছিল তা চিহ্নিত করার কাজও শুরু হয়। যাতে সংক্রমণ কোনওভাবেই ছড়িয়ে পড়তে না পারে তার জন্য সব ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় বলে জানান পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশচন্দ্র বেরা। ঐ গ্রামের সমস্ত রাস্তা সিল করে দেওয়া হয়। গোটা গ্রাম এখনও পুলিশের নজরে রয়েছে।