আমাদের ভারত, কলকাতা, ১১ জানুয়ারি: এই প্রথম ইংরাজি, বাংলা, হিন্দি এবং উর্দু— এই চারটি ভাষায় অভিধান প্রকাশিত হল। বুধবার রবীন্দ্র সদন প্রাঙ্গনে বাংলা আকাদেমি থেকে প্রকাশিত হল উপাচার্য ডঃ সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘চতুর্ভাষিক অভিধান’ গ্রন্থটি। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাংলা আকাদেমির সভাপতি ও শিক্ষামন্ত্রী অধ্যাপক ব্রাত্য বসু।
ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, “বহু ভাষাবিদ, সুপণ্ডিত জ্যোতিভূষণ চাকির অকস্মাৎ প্রয়াণে পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির এই মহতী প্রকল্প হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। আকাদেমির উদ্যোগে দীর্ঘদিন পর এটি পুনরুজ্জীবিত হয় অধ্যাপক সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহযোগিতায়। একাধিক ভাষায় অধিকারসম্পন্ন অধ্যাপক বন্দ্যোপাধ্যায় নিবিড় মনোযোগে পূর্ণ করেছেন সকল অসম্পূর্ণতা, সম্পন্ন করেছেন সংযোজন সংশোধন, কখনো-কখনো আমূল পরিবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ কাজ। বিলম্বিত হলেও অবশেষে এই চতুৰ্ভাষিক অভিধান পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি থেকে প্রকাশ করা সম্ভব হল। গ্রন্থপ্রকাশের এই মুহূর্তে প্রয়াত জ্যোতিভূষণ চাকী-র প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি। আমাদের প্রত্যয়, এই অভিধান বাংলা অভিধান-চর্চায় বিশেষ সম্পদ হয়ে উঠবে।“
সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “শব্দসংগ্রহ ও সংকলন, পাণ্ডুলিপি-সংশোধন, ছাপা ইত্যাদি অতি দুরূহ পর্ব অতিক্রম করে নানাবিধ আপাত তুচ্ছ অথচ অপরিহার্য কাজের শেষে দীর্ঘ ছয় বছর পর চারটি ভাষার বিপুল সংখ্যক শব্দে ঋদ্ধ এই অভিধানের সংকলনকার্য সমাধা হল। তবে যথাসাধ্য চেষ্টা সত্ত্বেও অভিধানটি হয়তো সামগ্রিক নির্ভুল নয়। এক্ষেত্রে যে-কোনো ধরনের ত্রুটিবিচ্যুতি জানা গেলে, পরবর্তী সংস্করণে সেগুলির সংশোধিতরূপ গ্রন্থে যুক্ত করা হবে।
এমন একটি সম্মাননীয় প্রকল্পের দায়িত্বভার দেওয়ায় পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির পরিচালন পর্ষদকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। এই বিলম্বিত প্রকল্প, গ্রন্থ রূপে প্রকাশের ক্ষেত্রে বাংলা আকাদেমির বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক ব্রাত্য বসুর সক্রিয় ভূমিকার কথাও প্রসঙ্গত অবশ্যস্বীকার্য। তাঁকে আমার অকুণ্ঠ ধন্যবাদ।“