
স্বরূপ দত্ত, আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর, ২৬ মে: সংশোধনাগারে বিয়ের প্রথম পর্ব। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিয়ে না করার মাশুল দিল বন্দি পাত্র। আদালত নির্দেশ দিয়েছে বিয়ের।
উল্লেখ্য, লকডাউনে পরিচয় ফেসবুকের মাধ্যমে। এর পরই পরিচয় ভালোবাসায় রূপান্তরিত হয়। তৈরি হয় শারীরিক সম্পর্কও। প্রতিশ্রুতি ছিল বিয়ের। কিন্তু পাত্রপক্ষ বেঁকে বসায় বিয়ে হয়নি। পরবর্তীতে ২০২২ সালে রায়গঞ্জ থানায় মামলা হয় ধর্ষণের। পুলিশ পাত্র ও তার বাবাকে গ্রেফতার করে আনে। শুরু হয় প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের মামলা। সাথে তপশিলি জাতি ও উপজাতি ধারা। ধৃতদের জায়গা হয় রায়গঞ্জ সংশোধনাগারে। এরপর পাত্র বিয়ে করতে রাজি হয়ে আদালতে আবেদন করেন। পাত্রী সায় দেন বিয়েতে। সেই বিয়েতেই আদালত মত দিয়েছে।
এবার চার হাত মেলার পালা। তার জন্যে বিবাহ আইন অনুযায়ী ম্যারেজের ফর্মে সই করাতে সংশোধনাগারে এলেন বিবাহ নিবন্ধক। দুই পক্ষের মধ্যে বিয়ের নোটিস দাখিল করা হলো। একমাস পরে বিবাহ হবে এখানেই। তারপর আদালতে পাত্রী আবেদন করলে ও বিচারক নির্দেশ দিলে ধৃত মুক্তি পেতে পারেন সংশোধনাগার থেকে। এরকম উদ্যোগ রায়গঞ্জে প্রথমবার। সংশোধনাগারে বিবাহ বন্ধনের প্রথম পর্ব।