সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, বনগাঁ, ১২ জুলাই: অবশেষে কাটল জট। প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসে সরকারি বিধি মেনে খোলা হল ফুল বাজার। রাজ্যের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম ফুলবাজার উত্তর ২৪ পরগণার ঠাকুরনগর ফুলবাজার। আবার পূর্ণোদ্যমে বসতে চলেছে ফুলবাজার।
অনেক আগেই লকডাউনে ছাড় দেওয়া হয়ে ছিল ফুলের ব্যবসায়ীদের। এমনকী বাজার, হাট ও পাড়ায় পাড়ায় ফুল নিয়ে বসতে পারবেন বিক্রেতারা। পুলিশ কোনওভাবেই এদের হস্তক্ষেপ করবে না। এমনই নির্দেশ দিয়ে ছিলেন রাজ্যের মুখ্য মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরও স্থানীয়দের চাপে পড়ে পুলিশ ফুলবাজার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। অবশেষে সব জট কাটিয়ে তুলে শর্ত মেনে ফুলবাজার খোলার নির্দেশ দিলেন পুলিশ।
ঠাকুরনগর এবং তার আশেপাশের বৃহত্তর অঞ্চলের বাসিন্দারা মূলত এই ব্যবসার সঙ্গেই জড়িত। করোনা মোকাবিলায় লকডাউনের জেরে প্রায় তিন মাস ফুল বাজার বন্ধ থাকায়, রুটি-রুজিতে টান পড়েছে ফুল চাষি থেকে ব্যবসায়ীদের। অনেকেই চরম দারিদ্র্যতার মধ্যে দিনযাপন করছে। এমতাবস্থায় একপ্রকার বাধ্য হয়েই শনিবার তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। প্রশাসনিক স্তরে যোগাযোগ শুরু হয় শনিবার বিকেল থেকেই। রবিবার তাই গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোবিন্দ দাস এবং স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষের মধ্যস্থতায় ফুলবাজার খোলার ব্যাপারে একটা সুস্থ ও সমব্যথী অবস্থার পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এদিনের এই সিদ্ধান্তের ফলে ফুল বাজারের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ী ও তাঁদের পরিবারেরা স্বাচ্ছন্দ্যে দিন কাটাবার আনন্দে ধন্যবাদ জানান সকলকে। কৃতজ্ঞতা জানান সংবাদমাধ্যমের বিশেষ ভূমিকাকেও।
ফুল বাজার সমিতির সভাপতি ফণীন্দ্রনাথ মন্ডল, সম্পাদক শিশির বিশ্বাস, কোষাধ্যক্ষ গৌতম মন্ডল, আহ্বায়ক প্রশান্ত দাস ঠাকুর, ফুল বাজার মালিক সমিতির সম্পাদক পার্থপ্রতিম বিশ্বাস সহ সকল সদস্যদের আবেদনে সাড়া দিয়ে প্রশাসন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাতে ফুল বাজারের ব্যবসায়ীরা আশার আলো দেখলেন একথা বলাই বাহুল্য।