সাথী দাস, পুরুলিয়া, ২ ডিসেম্বর: ঝালদায় কংগ্রেসের নিশ্চিত বোর্ড গড়া আটকে গেল। ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর জবা মাছোয়ারকে প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ করল পুর দফতর। ঝালদায় কি কংগ্রেস গঠন করতে পারবে পৌর বোর্ড? এই প্রশ্নই এখন দেখা দিয়েছে ঝালদা পৌরসভায়। রাজ্যপালের আদেশ অনুযায়ী আপাতত পৌর প্রধানের দায়িত্ব পালন করবেন ১০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার জবা মাছুয়ার। তিনি তৃণমূলের থেকে নির্বাচিত। আদেশে বলা হয়েছে রাজ্যের পৌর আইনের ১৭ (৪) ধারা অনুযায়ী এই নিযুক্তি করা হল।
উল্লেখ্য, শনিবার ৩ ডিসেম্বর ঝালদায় নতুন পৌর প্রধান নিয়োগের জন্য সভা করার কথা ছিল কংগ্রেসের। এর মধ্যেই তড়িঘড়ি এই নির্দেশ নতুন করে ঝালদায় রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়িয়ে দিল বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে শনিবারই নতুন পৌরপ্রধান ও উপপৌরপ্রধানের নাম ঘোষণা করা হবে বলে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। এপ্রসঙ্গে জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো বলেন, বিরোধী কাউন্সিলরদের নানান অভিযোগে গ্রেফতার করা হচ্ছে। এই অভিযোগে রক্ষাকবচ চেয়ে মামলা করা হয়েছিল। বিচারপতি রাজশেখর মান্থার নির্দেশে স্বস্তি পেয়েছেন তারা। বিচারপতি রায়ে জানিয়েছেন, ঝালদার কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দুকে আগামী ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে পুলিশ কোন পদক্ষেপ নিতে পারবে না। পৌর আইনের অপব্যবহার করা হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা তারা নেবেন বলে জানান তিনি।
১২ আসনের ঝালদা পৌরসভায় কংগ্রেসের ৫, তৃণমূলের ৫ কাউন্সিলর ছাড়াও দুই নির্দল কাউন্সিলর রয়েছেন। প্রথমে দুই নির্দলের সমর্থন নিয়ে এখানে তৃণমূল বোর্ড গঠন করলেও গত ২২ নভেম্বর তলবি সভা ডেকে এই বোর্ডের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে সমর্থ হয় কংগ্রেস। সেইমত শনিবার পাঁচ কংগ্রেস কাউন্সিলর এবং দুই নির্দল কাউন্সিলর বসে সিদ্ধান্ত নেবেন, ঝালদার পৌর বোর্ড গঠন নিয়ে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেখানেই কংগ্রেসের তরফে পৌরপ্রধান এবং উপপৌরপ্রধানের নাম ঘোষণার কথা ছিল।
নতুন পৌর প্রধান প্রসঙ্গে প্রাক্তন পৌরপ্রধান সুরেশ আগরওয়াল বলেন, এই আইন নিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্ব খুব ভাল ভাবেই জানেন। এই আইন প্রয়োগ হতেই পারে বলে জানান তিনি।
জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, এই সভা নিয়ে স্পষ্ট কোনো তথ্যই নেই তাদের কাউন্সিলরদের কাছে। আর আইনগত দিক দিয়েও এই সভা নিয়ে জটিলতা রয়েছে। বিষয়টি প্রশাসনের এক্তিয়ারভুক্ত।