মুসলমানদের হেয় করাই মোদী সরকার ও এনআইএ-র লক্ষ্য! বিস্ফোরক অভিযোগ মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহর

রাজেন রায়, কলকাতা, ২১ অক্টোবর: রাজ্যে যখনই কোনও জঙ্গি ধরা পড়ে, তখনই দেখা যায় সে মুসলিম। কেন মুসলিমরাই বারবার জঙ্গি হিসেবে ধরা পড়ছে? এই প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী ও জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বিস্ফোরক অভিযোগ করে বললেন, ‘মোদি সরকার ও এনআইএ-র লক্ষ্য মুসলমানদের হেয় করা।’ গোটা বিষয়টিকে ‘কেন্দ্রীয় সরকারের ভয়ঙ্কর কৌশল’ বলে দাবি করেন তিনি।

মুর্শিদাবাদে ‘সন্দেহভাজন জঙ্গিদের’ গ্রেফতার নিয়ে মঙ্গলবার রাজভবনের বাড়িতে বিভিন্ন মুসলিম নেতা ও আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি এই অভিযোগ করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, অল ইন্ডিয়া মাইনোরিটি অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক রুহুল আমিন, রেড রোডের ঈদের জামায়াতের ইমাম ফজলুর রহমান, প্রাক্তন সাংসদ আহমদ হাসান ইমরান সহ অনেকেই।

মুর্শিদাবাদ থেকে আল কায়দা জঙ্গি ধরা পড়ার প্রসঙ্গে
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রামবাসীরা বলছেন ধৃতরা নিরপরাধ। তাই আমরা মনে করছি, মুসলমানদের অপদস্থ করতেই এই গ্রেফতার করা হয়েছে। মোদি সরকার ও এনআইএ-র লক্ষ্য মুসলমানদের হেয় করা।

তিনি আরও বলেন, ‘সম্প্রতি ডোমকলে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে অন্ধকারে রেখে এনআইএ যে পদ্ধতিতে কার্যকলাপ চালিয়েছে তা দেখে মনে হয়েছে, ডোমকলে বোধহয় কোনও যুদ্ধ হচ্ছে। রাতের অন্ধকারে ১২ থেকে ১৩টির সশস্ত্র বাহিনীর কনভয় নিয়ে গ্রামে ঢুকে নিরীহ মানুষদের ধরপাকড় করছেন, পরে তাদের দিল্লি বা অন্যত্র সরিয়ে রেখেছেন। ওই ৯/১০ জন গ্রেফতারকৃত যুবকের আদৌ কী অপরাধ এবং কী তার তথ্যপ্রমাণ-সে বিষয়ে এনআইএ মুখে কুলুপ এঁটেছে। আমরা যতদূর জেনেছি ওরা সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত নয়। মুসলিম সমাজের উপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এনআইএ-কে ব্যবহার করছে। বিভিন্ন সংগঠন থেকে তাই গ্রেফতার হওয়া যুবকদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *