রাজেন রায়, কলকাতা, ২৭ নভেম্বর: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করেও স্বস্তি নেই রাজ্য প্রশাসনের। ইতিমধ্যেই এই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। শুক্রবার সেই জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট নির্দেশ দিল, রাজ্যের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ২০১৪ সালের মামলাকারী পরীক্ষার্থীদের নথিও যাচাইয়ের জন্য নিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে।
এদিন হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ২০১৪ প্রাথমিক টেট পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ভুলের কারণে যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এবং পরবর্তীতে হাইকোর্টের নির্দেশে তাদের টেট উত্তীর্ণ ঘোষণা করা হয়, সেই উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সমস্ত নথি অনলাইনে যাচাইয়ের সুযোগ দিতে হবে। তাদের এ ক্ষেত্রে মূল সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। যদি অনলাইনে অসুবিধা হয়, সেক্ষেত্রে ওই মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীরা সরাসরি নথি জমা করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ নভেম্বর প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে পর্ষদ। রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন পায়েল বাগ, রিন্টি বোস সহ বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী।
অন্যদিকে, এদিন দুপুর ১টা থেকে প্রাথমিক পর্ষদ অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভের সামিল হন হাইকোর্টের নির্দেশে পর উত্তীর্ণ হওয়া অতনু রায়, পাপ্পু সাহা, শ্রাবস্তি মজুমদার সহ ১৩০ জন চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের দাবি, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো আগে উত্তীর্ণ এই ১৩০ জনকে নিয়োগ করতে হবে। পরে নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করবে পর্ষদ। যদিও এই নিয়ে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফের সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি।