আমাদের ভারত, ১২ অক্টোবর: মোমিনপুরের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার পর কেন এনআই’কে জানানো হলো না? ওই এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে? সেই বিষয়ে রাজ্য সরকারকে বুধবারই হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি, বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্য রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর ঘটনার তদন্তে সিট গঠনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
মোমিনপুরের সাম্প্রতিক অশান্তির ঘটনায় তদন্তের দাবি জানিয়ে একটি মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে। উলুবেড়িয়ার ঘটনার পর প্রধান বিচারপতির নির্দেশ ছিল এই ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যেতে পারে এলাকায়। এই মামলার আবেদন ছিল এলাকায় যাতে রুট মার্চ করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বুধবার ছিল সেই মামলার শুনানি।
শুরুতেই রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালত। নিরাপত্তার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে কী ভাবা হয়েছে? সম্প্রীতি ফেরাতে কি পদক্ষেপ করা হয়েছে? রিপোর্টে এসব বিষয়গুলো উল্লেখ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বেলা দুটোয় রাজ্যকে রিপোর্ট দিতে বলেছিল ডিভিশন বেঞ্চ। রিপোর্ট জমা পড়ার পর হাইকোর্টে মোমিনপুরের ঘটনার তদন্তে সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
রাজ্য পুলিশের ডিজি ও কলকাতা পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করতে হবে। আদালতে রিপোর্ট দিতে হবে। পরবর্তী শুনানিতে এনআইএ তদন্ত হবে কিনা তা কেন্দ্রকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রাজ্যের রিপোর্ট দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এই বিষয়ে হাইকোর্ট কোনো মতামত দেবে না।
আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত জানিয়েছেন, দোষীদের গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি আদালতের নির্দেশে এলাকার মানুষের বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে। প্রাথমিক রিপোর্টে রাজ্য জানিয়েছে, মোমিনপুরের ঘটনা সংক্রান্ত পাঁচটি ফৌজদারি মামলার তদন্ত করেছে স্থানীয় থানা। ৪২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এখনো পর্যন্ত। পরিস্থিতি এখন শান্তিপূর্ণ বলে দাবি রাজ্যের।