আমাদের ভারত, নিজস্ব প্রতিনিধি, ১৯ জুন: করোনা পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে জারি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট আইনকে কাজে লাগিয়ে অতিসক্রিয় হয়ে পুলিশ আমাদের ভারতের সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করায় মুখ পুড়ল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশের। এই ঘটনায় পুলিশকে চরম ভর্ৎসনা করার পাশাপাশি এ ব্যাপারে সংযত হওয়ার পরামর্শ দিয়ে সাংবাদিককে জামিন দিলেন মহামান্য হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের অর্ডারের কপি সামনে আসতেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। তবে কি মানুষের হয়ে সত্য তুলে ধরাতেই এমন মিথ্যে কেস পুলিশের? এদিন সেই প্রশ্নও তুলেছেন সাধারণ মানুষ।
উল্লেখ্য করোনা পরিস্থিতির মধ্যে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার গ্যাস তুলতে সাধারণ মানুষের হয়রানির খবর প্রকাশ করেছিলেন বালুরঘাটের সাংবাদিক পিন্টু কুন্ডু। অন্য একটি দৈনিকেও সে খবর প্রকাশ হয়েছিল। আর এই ঘটনাকেই হাতিয়ার করে আকাশ হালদার নামে এক তৃণমূল ছাত্র নেতার লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ অতি সক্রিয় হয়ে সাংবাদিক পিন্টু কুন্ডুর নামে বিশেষ ধারায় মামলা দায়ের করে। যার পরে আদালতে জামিনের আর্জি জানিয়েছিল সাংবাদিক। সেই মামলায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানি করে বিচারপতি পুলিশকে সংযত থাকার বার্তা দিয়ে সাংবাদিককে জামিন দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি ছাড়া এধরনের মামলা পুলিশ কখনই করতে পারে না এমনটাও জানানো হয়েছে আদালতের তরফে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এধরনের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, সংবাদমাধ্যমের উপর আইনি হামলা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বিরোধী। তারপরেও এমন ঘটনায় কার্যত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশের মুখ পুড়ল বলেই মনে করছেন বিভিন্ন মহল।
এ বিষয়ে হাইকোর্টের আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ণ চ্যাটার্জি জানিয়েছেন, বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ এবং বিচারপতি সৌমেন সেন সাংবাদিক পিন্টু কুন্ডুর জামিন মঞ্জুর করেছেন।