আইনের ফাঁক গলে খুলে তারাপীঠের হোটেল

আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ১৬ জানুয়ারি: আইনের ফাঁক গলে কার্যত খুলে গেল তারাপীঠের হোটেল। ফলে রবিবার সকাল থেকেই তারাপীঠের বিভিন্ন হোটেলে পুন্যার্থীরা ঢুকতে শুরু করেছে। ভিড় দেখা গিয়েছে তারাপীঠ মন্দিরেও। এনিয়ে জেলা শাসকের সঙ্গে মহকুমা শাসকের বক্তব্যেও বিস্তর ফারাক দেখা দিয়েছে।

করোনা অতিমারির কারণে রাজ্য সরকার ৩ জানুয়ারি থেকে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করে। তার মধ্যে অন্যতম ছিল পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা। তারাপীঠকে পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে ধরে নিয়ে ৪ জানুয়ারি তারাপীঠ– রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের সভাকক্ষে প্রশাসনিক বৈঠক করে পরিস্কার জানিয়ে দেওয়া হয়, তারাপীঠের সমস্ত হোটেল বন্ধ রাখতে হবে সরকারের তরফে পরবর্তী আদেশ না আসা পর্যন্ত। প্রশাসনের সেই নির্দেশকে তোয়াক্কা না করেই হোটেল খুলে রাখা হয়েছিল তারাপীঠে। ৯ জানুয়ারি প্রশাসনের চাপে পরে হোটেল বন্ধ রাখা হয়। শনিবার রাজ্য সরকার আগের বিধিনিষেধ জারি রেখে কয়েকটি ক্ষেত্রে নিয়ম কিছুটা শিথিল করেছে।

সেই নির্দেশে বলা হয়েছে হোটেল কিংবা অনুষ্ঠান ভবনে ২০০ জন লোক নিয়ে বিবাহ বা সামাজিক অনুষ্ঠান করা যেতে পারে। বিয়ে বাড়ির নির্দেশিকাকে হাতিয়ার করে তারাপীঠ হোটেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুনীল গিরি হোটেলের ২৫ শতাংশ ঘর ভাড়া দেওয়ার পরামর্শ দেন ব্যবসায়ীদের। সুনীলবাবু বলেন, “আমরা মহকুমা শাসকের সঙ্গে কথা বলেছি। উনি হোটেলের ২৫ শতাংশ ঘর ভাড়া দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন। সেই মতো আমরা এদিন থেকে হোটেলের ঘর ভাড়া দিতে শুরু করেছি।”

রামপুরহাট মহকুমা শাসক সাদ্দাম নাভাস বলেন, “জেলা প্রশাসন বৈঠক করে ২৫ শতাংশ হোটেল ঘর ভাড়া দেওয়ার ছাড়পত্র দিয়েছে। আমি সেই নির্দেশ হোটেল ব্যবসায়ীদের জানিয়ে দিয়েছি।”

যদিও জেলাশাসক বিধান রায়ের গলায় শোনা গেল অন্য সুর। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকারের আগের যে নির্দেশ ছিল সেই নির্দেশ জারি থাকবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। সেই নির্দেশ অনুযায়ী পর্যটন কেন্দ্রের কোনও হোটেল ভাড়া দেওয়ার যাবে না পর্যটকদের। তবে বিবাহ কিংবা সামাজিক অনুষ্ঠান থাকলে সে ক্ষেত্রে ২০০ জন নিয়ে ভাড়া দেওয়া যেতে পারে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *