আমাদের ভারত, ১৩ মে: স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি’র গ্রুপ সি কর্মী পদে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে মামলায় বাগ কমিটির তরফে ৮ জনকে এই দুর্নীতি কাণ্ডে জড়িত বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বাগ কমিটি আদালতে যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে সেখানে ৮ জনকে গোটা দুর্নীতি কাণ্ডের মূল মাথা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ৮জন হলেন– সমরজিৎ আচার্য (স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রোগ্রামিং অফিসার), কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় (মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি), সৌমিত্র সরকার (স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান), অশোককুমার সাহা (স্কুল সার্ভিস কমিশনের সচিব), সুবীরেশ ভট্টাচার্য (স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান), শর্মিলা মিত্র, শুভজিৎ চট্টোপাধ্যায়, শেখ সিরাজউদ্দিন, মহুয়া বিশ্বাস (কমিশনের আঞ্চলিক চেয়ারম্যান), রাজেশ লায়েক (বোর্ডের টেকনিক্যাল অফিসার) এবং ধ্রুব চক্রবর্তী। এই ভুয়ো নিয়োগের ঘটনায় এঁরা কোনও না কোনও ভাবে সবাই জড়িত বলে দাবি করা হয়েছে বাগ কমিটির রিপোর্টে।
জানা গিয়েছে, আদালতে বাগ কমিটি যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে তাতে সৌমিত্র সরকার, অশোক কুমার সাহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, শান্তিপ্রসাদ সিনহা ও সমরজিৎ আচার্যদের বিরুদ্ধে আইনত পদক্ষেপ করার সুপারিশ করা হয়েছে। কার্যত বাগ কমিটি এদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার সুপারিশ করেছে।
রিপোর্টে বিভাগীয় তদন্তের সুপারিশ করা হয়েছে সুবীরেশ ভট্টাচার্য, চৈতালি ভট্টাচার্য, শর্মিলা মিত্র, মহুয়া বিশ্বাস, শুভজিৎ চট্টোপাধ্যায়, শেখ সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে।
এদিন মূল মামলার আবেদনকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘এই কমিটির রিপোর্ট দেখেই বোঝা যাচ্ছে বিরাট বড় দুর্নীতি হয়েছে এই নিয়োগে। আর ওপর মহলের নির্দেশ ছাড়া এটা সম্ভব নয়। নম্বর বাড়িয়ে এবং ওএমআর সিটে গণ্ডগোল করে নিয়োগ করা হয়েছে। তবে এদিনও শুনানি শেষে এসএসসি নিয়োগ মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বজায় রাখল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ১৮ মে এই মামলার রায় ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি’র গ্রুপ সি কর্মী পদে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগেও মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলাতে আদালত প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের নেতৃত্বাধীন একটি কমিটি গড়ে দেয় বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য। সেই কমিটি শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে তাঁদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি আনন্দ কুমার মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। সেই রিপোর্টেই দাবি করা হয়েছে, ৩৮১জন ভুয়ো নিয়োগ হয়েছে। আবার তাঁদের মধ্যে ২২২জন এসএসসি’র পরীক্ষাই দেয়নি বলেও দাবি করা হয়েছে।