মেয়ে-জামাইয়ের জন্য মাংস কেনার বায়না করায় স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করল স্বামী

আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ২০ মে : মেয়ে-জামাইয়ের আপ্যায়নে মাংস কিনে আনার বায়না ধরেছিল স্ত্রী। মেয়ে-জামাই ফিরে যেতেই স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করল স্বামী। রাতেই মায়ের খুনি বাবাকে পুলিশের হাতে তুলে দিল ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের নলহাটি থানার বারা গ্রাম পঞ্চায়েতের শেখহাট গ্রামের কোনাই পাড়ায়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম রাধারাণী কোনাই (৫০)। তাদের একমাত্র মেয়ে ঝুম্পার বিয়ে দেন মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুরের মির্জাপুরে। দিন তিনেক আগে মেয়ে বাপের বাড়ি আসে জামাইকে সঙ্গে নিয়ে। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদের মির্জাপুর ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। মেয়ে জামাই বাড়ি ফিরে যাবে সেই কারণে দুপুরে তাদের মাংস ভাত খাওয়ানোর ইচ্ছে হয়েছিল রাধারাণীর। সেই মতো স্বামী প্রভাত কোনাইকে মাংস কিনে আনতে বলেন রাধারাণী। কিন্তু পেশায় দিনমজুর প্রভাতের হাতে মাংস কেনার সামর্থ ছিল না। ফলে তখনকার মতো স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এদিকে বিকেল তিনটার দিকে মেয়ে জামাইও মির্জাপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। বিকেলে মদ খেয়ে বাড়ি ফেরে প্রভাত। এরপর স্ত্রীকে খুনের জেদ চাপে তার। রাত সকলে যখন ঘুমিয়ে পড়ে, তখন কোদাল দিয়ে স্ত্রীকে কোপাতে থাকে প্রভাত। মাকে মারতে দেখে ছুটে আসে ছোট ছেলে। খবর দেয় বড় ভাই সুখেনকে। দুই ভাই মাকে উদ্ধার করে লোহাপুর ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যায়। একই সঙ্গে বাবাকে ধরে লোহপুর পুলিশ ক্যাম্প তুলে দেয়। রাতেই রাধারাণীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গভীর রাতে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *