অভিযোগ পেয়েও পুলিশ পদক্ষেপ না করায় কানহাইয়া লালের সাথে এই নৃশংস ঘটনা ঘটেছে, অভিযোগ নিহতের পরিবারের

আমাদের ভারত, ২৯ জুন:
মঙ্গলবারের ঘটনার পর রাজস্থানের উদয়পুর একেবারে নিস্তব্ধ। কড়া নিরাপত্তায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে নিহত কানহাইয়ালালের। কিন্তু পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ কানহাইয়ালাল ১৫ জুন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তাঁকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন তিনি। কিন্তু পুলিশ সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনও ব্যবস্থাই করেনি বলে অভিযোগ। সেই কারণেই এমন ভাবে মরতে হয়েছে কানহাইয়া লালকে। রাজস্থান সরকার স্থানীয় থানার এএসআই’কে সাসপেন্ড করেছে।

কানহাইয়া লালের পরিবারের অভিযোগ, প্রাণভয়ে ছয় দিন দোকান খোলেননি তিনি।এরপর মঙ্গলবার দোকান খুলতেই তাঁর সঙ্গে নৃশংস ঘটনা ঘটে গেল। পুলিশ সময় মতো ব্যবস্থা নিলে হয়তো কানহাইয়া লাল বেঁচে যেতে পারতেন বলে দাবি করেছে তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

নুপুর শর্মাকে সমর্থন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার পর থেকেই হুমকি পাচ্ছিলেন কানহাইয়ালাল। তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে ভুল বশত কিছু একটা পোস্ট হয়ে গিয়েছিল। যেটা তিনি জানতেন না। দুদিন পর দুই ব্যক্তি তার দোকানে এসে ওই পোস্ট করা নিয়ে হুমকি দেয়। এরপর পোস্টটি মুছে দেওয়া হয়। এরপরে কানহাইয়া লালের বিরুদ্ধে অভিযোগ নথিভূক্ত হয়। অভিযোগ দায়ের পর থানায় ডাকা হয় কানাইয়া লালকে। এএসআইয়ের মধ্যস্থতায় দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়। যদিও তারপরেও কানহাইয়ালালকে হুমকি দেওয় বলে অভিযোগ তার পরিবারের। আর সেই বিষয়ে থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। সমঝোতা করার পরেও তার দোকানে নজরদারি চালানো হচ্ছিল, হুমকি দেওয়া হয়েছিল, অন্য কোথাও গেলেও তাকে মেরে ফেলা হবে। হোয়াটসঅ্যাপে কল করে একের পর এক হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। এই সব জানিয়ে থানায় অভিযোগ করার পরেও স্থানীয় থানার এএসআই কর্ণপাত করেননি। বরং পুলিশ তাকে বলেছিল সমঝোতা হয়েছে, এবার নিজেকে খেয়াল রাখতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *