সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ২৫ নভেম্বর: বনগাঁর প্রাক্তন মুখ্য প্রশাসক পাগলের প্রলাপ গাইছেন। নিজের কুকর্ম ধামা চাপা দিতে রাজ্যের নেতা মন্ত্রীদের ঘাড়ে দোষ চাপাছেন। বনগাঁর প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বিস্ফোরক বক্তব্য নিয়ে পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন করল বনগাঁ জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি সন্দীপ দেবনাথ। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বনগাঁর মুখ্য প্রশাসক গোপাল শেঠ, ভায়েস চেয়ারম্যান কৃষ্ণা রায় সহ তৃণমূল কাউন্সিলাররা।
সাম্প্রতিক এক বিজয়া সম্মেলন অনুষ্ঠান থেকে বক্তব্য রাখেন বনগাঁর প্রাক্তন চেয়ারম্যান শংকর আঢ্য। সেই বক্তব্যে ২০১৫ সালের নির্বাচন প্রসঙ্গে বিস্ফোরক বক্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, আমি যদি কোনও রাজনৈতিক ভুল করে থাকি সেটা হল ২০১৫ সালে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কথায় বেশ কয়েকটি বুথে রিগিং করতে বাধ্য হয়েছিলাম। তার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি বনগাঁর মানুষের কাছে। পুরভোটের আগে এই বিস্ফোরক মন্তব্যে দলে ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলে মনে করছেন তৃণমূলের এক অংশ। এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার বনগাঁ জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি সন্দীপ দেবনাথ বনগাঁতে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান পাগলের প্রলাপ শুরু করেছে। আমরা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীকে প্রত্যেকে নির্বাচনে জয়ী হয়েছি। তাঁর অবশ্যই জানা দরকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছবি ও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীক দেখেই ২০১৫ সালে বনগাঁর মানুষ ভোট দিয়েছে। বনগাঁর প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রী কিভাবে জিতেছিল তা বনগাঁর মানুষ জানেন। এখন প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে বাদ দিয়ে বনগাঁর মানুষ বেশি খুশি। সাধারণ মানুষ ওর দ্বারা অত্যাচারিত। এছাড়াও নানা বিষয় নিয়ে প্রাক্তন চেয়ারম্যান শংকর আঢ্যকে আক্রমণ করা হয় সাংবাদিক সম্মেলন থেকে।
এই বিষয়ে বনগাঁর বিজেপি নেতা দেবদাস মন্ডল বলেন, এখন প্রাক্তন চেয়ার ম্যানকে কেন পাগল বলে এড়িয়ে যাচ্ছে তৃণমূল। তাকে ঝেড়ে ফেলার জন্য। ও যা যা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস জানতো না? বনগাঁর মানুষ এর বিচার করেছে ২০১৯ সালে। পরবর্তীতে ২০২১ এও মানুষ রায় দিয়েছে। আগামী পৌরসভা ভোটে তার ফল পেয়ে যাবে।