বাজার আগুন নয় ভয়াবহ আগুন! লকডাউনের আগে শপিং মলে লম্বা লাইন, বাজারে মানুষের ভিড়

নীল বনিক, আমাদের ভারত, কলকাতা, ২৩ মার্চ: করোনা বিধি শিকিয়ে তুলে লকডাউনের আগে কলকাতার বাজারগুলাতে ভিড় জনতার। প্রতিটি শপিংমলের সামনে লম্বা লাইন। বাজারেও মানূষের উপচে পড়া ভিড়। অনেকেই চাহিদা মত জিনিস পাচ্ছেন না, পেলেও আগুন দর।

আজ বিকেলের পরেই ৫টা থেকে লকডাউন শুরু হচ্ছে। তারআগে সোমবার সকালে কলকাতার বিভিন্ন বাজারে এবং শপিংমলে মানুষের ভিড়। মানিকতলা বাজারে দেখাগেল মানুষের ভিড়। নিত্যপ্রোয়জনীয় জিনিষপত্র ও শাকসব্জী কিনতে সকাল থেকেই কলকাতার ভিড় করেছেন সাধারন মানুষ। লকডাউনের আগে সবাই চাইছেন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহ করতে।
রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়েছে একসঙ্গে যাতে বেশি মানুষ ভিড় না জমান। কিন্তুু বাজার করতে গিয়ে সেই বিধি অনায়াসে ভাঙলেন সাধারন মানুষ। শাকশব্জী কিনতে জনতা দোকানগুলিতে হুমড়ি খেয়ে পড়লেন। যা দেখে স্বাস্থ্য কর্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ।

সকাল থেকেই মুদিখানার দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। দোকানও প্রায় ফাঁকা। পাইকপাড়ার বাসিন্দা কৌশিক বনিক সকালে বাজারের ব্যাগ নিয়ে বেড়িয়েছিলেন। কাছের বাজার ছেড়ে গিয়েছিলেন দমদম বাজারে। ভেবে ছিলেন সেখানে চাহিদা মত সবজি পাবেন। কিন্তু গিয়ে দেখেন সবজি প্রায় সবই শেষ। তারপর তিনি পাইকপাড়া বাজারে যান। গিয়ে দেখেন কয়েকটি দোকানে সবজি পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু সবকিছুই আগুন দামে বিকোচ্ছে। সজনে ডাঁটার দাম ১৫০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, কুমডড়ো ৩০ টাকা, বিট–গাজর ৪০ টাকা কিলা। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কিলো দরে, আলু ২৫ থেকে ৩০ টাকা কিলো। তাই যতটা যে যতটা পারছেন কিনে নিচ্ছেন।

শহরতলীর বাজারগুলোতে জিনিসপত্রের দাম ছিল আরো বেশি। সেখানে সজনে ডাঁটা বিক্রি হয়েছে দেড়শ থেকে দু’শ টাকা কিলো, লঙ্কা ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কিলো, পিঁয়াজ ৩৯ টাকা কিলো, টম্যাটো ৪০ টাকা কিলো। আলু বাজার থেকে উধাও। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্রেতারা তাদের চাহিদামতো মাল পাননি। জিনিসপত্রের দাম বেশি চাওয়ায় অনেকক্ষেত্রে হাতাহাতিও হয়েছে। সোদপুর স্টেশন বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা মারামারি সামাল দিতে শেষ পর্যন্ত ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ।

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here