আমাদের ভারত, ২৫ মে: মুজাহিদিন, লস্কর নয় বাংলাদেশের জামাত জঙ্গি সংগঠন এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের। বাংলা সহ সীমান্তবর্তী ৪ রাজ্যকে জামাত জঙ্গিরা করিডোর হিসেবে ব্যবহার করছে। এই করিডোর দিয়ে প্রবেশ করার পর দক্ষিণের ৩ রাজ্যকে নিরাপদ আশ্রয় বলে মনে করে সেখানে ডেরা তৈরি করছে জঙ্গিরা। এমনটাই রিপোর্ট মন্ত্রকের।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর পাওয়ার পরেই ৭ রাজ্যকে সতর্ক বার্তা পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বলে খবর। বাংলাদেশি বাসিন্দাদের গতিবিধির ওপর সর্বক্ষণ নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাংলায় বেশ কয়েকটি ঘটনার সঙ্গে জামাতের যোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। মুর্শিদাবাদ সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলা থেকে জামাত ঘনিষ্ঠদের গ্রেপ্তারও করেন গোয়েন্দারা। তাদের জেরা করেই চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। আর তাতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কপালে চিন্তার ভাঁজ বেড়েছে।
সূত্রের খবর, যেহেতু বাংলায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করেছেন তাই এখান থেকে পাততাড়ি গুটানোর কাজ করেছে জামাত। বরং দক্ষিণ ভারতে তিন রাজ্যে কেরল তামিলনাড়ু কর্ণাটকের নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বেছে নিয়েছে তারা। আর বাংলা এখন তাদের কাছে করিডর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে জানা যাচ্ছে, বাংলা ছাড়াও উত্তর-পূর্ব ভারতের বাংলাদেশ লাগোয়া ৩ রাজ্য ত্রিপুরা, মেঘালয়, অসম দিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা চালাচ্ছে জামাত জঙ্গিরা।
জানাগেছে, সীমান্ত পার করে ভারতে প্রবেশ করেই তারা চলে যাচ্ছে দক্ষিণের তিন রাজ্যে। কারণ এই তিন রাজ্যে পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকরা কাজ করে। সেখানে কাজ পাওয়ার পরই স্থানীয় ভাষা শিখে নিচ্ছে তারা। পশ্চিমবঙ্গবাসী ও বাংলাদেশীদের মধ্যে কথার ফারাক বুঝতে পারছেন না দক্ষিণ ভারতীয়রা। সেখানেই সুবিধা পাচ্ছে জামাত জঙ্গিরা।
সূত্রের খবর, তথ্য-প্রমাণ সহ সম্প্রতি ৭ রাজ্যকে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সেখানে ওপার বাংলা থেকে আসা বাসিন্দাদের ওপর নজরদারি চালানোর কাজে কোনোভাবেই যাতে ঢিলেমি বরদাস্ত না করা হয় তার কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।