আমাদের ভারত, বর্ধমান, ১৬ অক্টোবর :
সংখ্যালঘু ভোটের উপরেই নির্ভর করবে বিধানসভা ভোটের ফলাফল, এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী তথা সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। স্পষ্ট ভাষায় তিনি জানিয়ে দেন বিধানসভা নির্বাচনে পুরো মাত্রায় রেজাল্ট পেতে গেলে অবশ্যই সংখ্যালঘুদের সঙ্গে নিতে হবে।
লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের ভরাডুবির পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে বলেছিলেন সামনে ইদ আসছে তিনি ইফতারে যাবেন। তাঁর কথায়, “আমি তো মুসলিম তোষণ করি। যে গরু দুধ দেয় তার লাথিও খাওয়া যায়।” মুখ্যমন্ত্রী সেই মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়। বিজেপি বিষয়টি নিয়ে ময়দানে নামে। এদিকে লোকসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের ১৮ টি আসনের ভরাডুবির কারণ খুঁজতে বসে উঠে আসে মেরুকরণের রাজনীতি। অধিকাংশ হিন্দু প্রধান এলাকায় দল হেরেছে বলে রিপোর্টে উঠে আসে। অন্যদিকে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটের ব্যবধান বেড়ে যায়। এমনকি বাম ও কংগ্রেসের বেশ কিছু পকেট হিন্দু ভোটও বিজেপির দিকে যায়, কিন্তু মুসলিম ভোট যায় তৃণমূল কংগ্রেসের অনুকূলে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, বিগত লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ২২টি আসনে তৃণমূল জেতার পিছনে কাজ করেছে মুসলিম ভোট। মুর্শিদাবাদে আবু তাহের, যাদবপুরে মিমি চক্রবর্তী, জঙ্গিপুরে খলিলুর রহমান, উলুবেড়িয়ায় সাজদা আহমেদ, বসিরহাটে নুসরত জাহান জিতেছিলেন মুসলিম ভোটের উপরে নির্ভর করেই।
মুখ্যমন্ত্রীর কথা তুলে ধরে রাজ্য সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে গরু দুধ দেয় তার লাথও খাবো। আমি সে কথা বলব না, কারন তাঁর অন্তর অনেক বড়ো। কিন্তু পশ্চিমবাংলা সংখ্যালঘুদের সঙ্গে না নিলে নির্বাচনে পুরো মাত্রায় রেজাল্ট পাওয়া যাবে না। তিনি বলেন, এটা প্রমাণিত সংখ্যালঘু ভোটের উপরেই নির্বাচনের ফলাফল নির্ভর করে। আর তাই সংখ্যালঘু সেলকে চাঙ্গা করার পরিকল্পনা নিয়েছি আমরা। যাতে কর্মীদের মধ্যে কোনও জড়তা না থাকে। দলের বিরুদ্ধে মানুষের অভাব অভিযোগ থাকতেই পারে। আমাদের একটাই লক্ষ্য দলকে চাঙ্গা করা। যাতে ভোট দলের পক্ষে আসে সেটা সুনিশ্চিত করার জন্যই আমরা একাধিক পরিকল্পনা নিচ্ছি।