আমাদের ভারত, ২৯ মে: ভারতের প্রতিবেশী তিন মুসলিম দেশ থেকে আসা সংখ্যালঘু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করলো ভারত। নাগরিকত্বের আবেদনের নোটিশ জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
পাকিস্তান-আফগানিস্তান বাংলাদেশ মতো মুসলিম রাষ্ট্রের সংখ্যালঘু নাগরিকরা এদেশে থাকার জন্য এই নোটিশ অনুযায়ী আবেদন করতে পারবেন অনলাইনে। তবে এই আবেদনের প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবে পাঁচ রাজ্য। যথাক্রমে গুজরাট, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, রাজস্থান, ছত্তিশগড়। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই তালিকায় বাংলার নাম নেই।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নোটিশ অনুযায়ী আপাতত এই পাঁচ রাজ্যের ১৩টি জেলার জেলাশাসকদের নাগরিকত্ব প্রদানের অধিকার দেওয়া হয়েছে। নোটিশে স্পষ্ট বলা হয়েছে ধর্মীয় কারণে যেসব সংখ্যালঘুরা অর্থাৎ হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, খ্রীষ্টান, পার্সিরা ভারতে শরণ নিতে বাধ্য হয়েছেন, তাদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। নাগরিকত্ব দিতে পারবেন এই রাজ্যগুলি সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসকরা।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৪-র আগে ভারতে আসা শরনার্থীদের জন্য এই নিয়ম প্রযোজ্য। ১৯৫৫ ও ২০০৮ সালের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী এই নির্দেশিকা কার্যকর করার কথা বলেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে। তবে ২০১৯ সালে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এর সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পর্কিত নয় বলে জানিয়েছে মন্ত্রক।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক একইভাবে সাতটি রাজ্যে ১৬ টি জেলার জেলাশাসকদের অধিকার দিয়েছিল। কিন্তু ২০১৯ সালের নতুন আইনটি সামনে আসার পর দেশজুড়ে বিরোধিতা ঝড় ওঠে। কেন্দ্র প্রাথমিকভাবে আইন প্রয়োগ না করলেও অচিরেই তা প্রয়োগ করা হবে তা জানিয়ে রেখেছিল।