বালুরঘাটে বেওয়ারিশ গরুর বিরুদ্ধে মাঠে নেমে কালঘাম ছুটলো পুরসভা ও প্রশাসনের, হাতেগোনা কয়েকটি গরু ধরেই থামাতে হল প্রথম দিনের অভিযান

পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ১৭ অক্টোবর: বেওয়ারিশ গরুর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবার হুঁশিয়ারি দিয়ে রাস্তায় নেমে কালঘাম ছুটলো পুরসভা ও প্রশাসনের। হাতে গোনা কয়েকটি গরু ধরেই থামতে হয় তাদের। রবিবার রাত থেকে পুরসভা ও প্রশাসনের উদ্যোগে শুরু হওয়া শহরের বিভিন্ন জায়গায় এমন অভিযানকে ঘিরে রীতিমতো হুলুস্থুল পরিবেশ তৈরি হয় শহরে। যেখানে পুরসভা কর্তৃপক্ষ ছাড়াও হাজির ছিল ট্রাফিক বিভাগ ও দমকল দপ্তরের কর্মীরা।

বেশকিছুদিন ধরেই বেওয়ারিশ ষাঁড় ও গরুর উৎপাতে কার্যত নাজেহাল হচ্ছিলেন পথচলতি সাধারণ মানুষজন। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে এইসব বেওয়ারিশ পশুদের দাপটে বাড়ছিল ছোট বড় দুর্ঘটনাও। যা নিত্য নৈমিত্যিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বালুরঘাট শহরে। বিষয়টি নজরে আসবার পরেই বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে প্রশাসন ও পুরসভা কর্তৃপক্ষ। পথচারী এবং সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে রাস্তা থেকে বেওয়ারিশ গরুগুলি ধরে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহনের সিদ্ধান্ত নেয় উভয় প্রশাসন। যার পরিপ্রেক্ষিতেই রবিবার রাত থেকে প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে এক বিশেষ অভিযানে নামে পুরসভা কর্তৃপক্ষ।

অভিযানে বালুরঘাট পৌরসভার চেয়ারম্যান, মহকুমা শাসক, ডিএসপি, আইসি ছাড়াও পুরকর্মীদের সঙ্গে ওই অভিযানে হাজির ছিল ট্র্যাফিক বিভাগ, দমকল ও অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তারা। রাতের অন্ধকারে চলা এইসব গরু ধরতে কার্যত হিমশিম খেতে হয় অভিযানে নামা কর্মীদের। এক-একটা গরুর পিছনে তাদের অনেক সময় ব্যয় করতে হয়। যার জেরে প্রথমদিনে হাতেগোনা কয়েকটি গরু ধরেই ক্ষান্ত থাকতে হয়েছে পুরসভা ও প্রশাসনকে। আটক হওয়া গোরুগুলি পিকআপ ভ্যানে করে সুনির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে পুরসভার তরফে। বাজেয়াপ্ত সমস্ত গোরুগ আইনানুগ উপায়েই ছাড়াতে হবে নির্দিষ্ট জায়গা থেকে।

বালুরঘাট পৌরসভার চেয়ারম্যান অশোক কুমার মিত্র জানিয়েছেন, ‘‘রাস্তায় ঘুরে বেড়ালেও অধিকাংশ গরুর মালিক আছে। তাঁরা গরুগুলিকে রাস্তায় ছেড়ে দেন। তাঁরা যাতে রাস্তা থেকে গরুদের সরিয়ে নেন, সে জন্য মাইকে প্রচার করে পুরসভার তরফে আবেদন করা হয়েছে। তার পরেই এমন অভিযান। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গরুগুলিকে সুরক্ষিত জায়গায় রাখা হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *