রথ উৎসবে মাততে প্রস্তুত হচ্ছে হুগলীর মানুষ, প্রস্তুত প্রশাসনও

(ফাইল চিত্র)
আমাদের ভারত, হুগলী, ৩০ জুন: করোনা অতি মহামারি কাটিয়ে দু’বছর পর রথ উৎসবে মাততে চলেছে শ্রীরামপুরের মাহেশ। চলতি বছর ৬২৬ বছরে পড়তে চলেছে মাহেশের রথযাত্রা। চলতি বছর কড়া পুলিশি ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে মাহেশের প্রাচীন রথযাত্রা পালনে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। মন্দির কমিটি থেকে শুরু করে মেলা কমিটির পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরাও সক্রিয় হয়ে উঠেছেন।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মাহেশের রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল চোখে পড়ার মতো। জগন্নাথের মূল মন্দির থেকে মাসির বাড়ির মন্দির পর্যন্ত পুলিশের গাড়ি, মোবাইল ভ্যান এবং পুলিশ কর্মীদের আনাগোনা চোখে পড়েছে। এদিন সকাল থেকেই জগন্নাথ মন্দিরে ভিড় জমায় হাজার হাজার ভক্ত। খোল করতাল নিয়ে ভক্তরা নাম সংকীর্তনে মেতে ওঠেন। চলতি বছর জগন্নাথ মন্দির থেকে মাসির বাড়ির রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় সিসিটিভি ও ওয়াচ টাওয়ার এবং ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালাবে পুলিশ।

মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরের প্রধান সেবাইত সৌমেন অধিকারি বলেন, এবারে মাহেশের রথযাত্রা উপলক্ষ্যে বিভিন্ন জেলা থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ রথযাত্রায় অংশ নেবেন।

অন্যদিকে গুপ্তিপাড়ার রথ ২৮৩ বছরে পদার্পন করল। ১৭৪০ সালে গুপ্তিপাড়ার রথের প্রচলন করেন মধুসূদানন্দ। এই রথকে বলা হয় বৃন্দাবন জিউর রথ। রথের দিন এখানে ভান্ডারা লুঠ হয়।

গুপ্তিপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান বিশ্বজিৎ নাগ বলেন, গুপ্তিপাড়ার রথের একটা আলাদা ঐতিহ্য রয়েছে। ভান্ডারা লুঠ ভারতবর্ষের অন্য কোথাও হয় না। নদীয়া ও শান্তিপুর থেকে হাজার হাজার মানুষ রথে ভিড় জমান। চন্দননগরেও পালিত হবে ৩০০ বছরের পুরনো রথযাত্রা। সব মিলিয়ে রথ উৎসবে মাততে প্রস্তুত হচ্ছে হুগলীর মানুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *