চাপের রাজনীতি! মুকুল কি পুরনো খেলায় নামছেন?

নীল বনিক, কলকাতা, ২৫ জুলাই: দিল্লি থেকে ফিরে এসে কেন্দ্রীয় নেতাদের উল্টো চাপে রাখলেন মুকুল রায়। নরেন্দ্র মোদী থেকে অমিত শাহ সবাই মুকুল রায়ের সাংগঠনিক ক্ষমতা এববাক্যে জনসমক্ষে স্বীকার করেছেন। তারপরেও প্রাক্তন রেলমন্ত্রীর কপালে জোটেনি কোন পদ। তাই নিয়ে শুধু মুকুল নন, তাঁর অনুগামীদের মধ্যেও রয়েছে তীব্র ক্ষোভ।

দিল্লীতে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে বাদানুবাদকেই এবার সুকৌশলে কাজে লাগাতে চাইছেন মুকুল রায়। মুকুল রায়ের সঙ্গে রাজ্য বিজেপির সভাপতি বাদানুবাদের পরেই জল্পনা শুরু হয়েছে তাহলে কি পুরনো খেলায় নামছেন মুকুল?

সারদা কান্ডে সিবিআইয়ের জেরার পর মুকুল রায় তৃণমূল পার্টি অফিসে না গিয়ে চাপ বাড়িয়েছিলেন। দীর্ঘদিন তৃণমূলের কোনও কর্মসূচিতে যোগদান করেননি। তবে মাঝেমধ্যেই সেইসময় কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে দেখা করতেন। একসময়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল মুকুল রায়ের আগামী দিনের ভবিষ্যত প্রদেশ কংগ্রেস। জল্পনা দীর্ঘ হতেই সেই জল্পনার অবসান ঘটে। কারন তাঁর ঘনিষ্ঠরা দিল্লিতে সেইসময় নতুন দলের জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেন। ফের শুরু হয় মুকুল রায়ের রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে জল্পনা। সেই জল্পনাও বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। এরপরেই কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে ঘনঘন বৈঠক দিল্লিতে। তবে আর বেশি দেরি না করে মুকুল রায় যোগদান করলেন বিজেপিতে।

যদিও যোগদান করার পর রাজ্য বিজেপিতে খুব বেশি সুবিধে করতে পারেননি মুকুল রায়। বারবার দূরত্ব তৈরি হয়েছে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে। বর্তমানে সেই দূরত্ব আরও বেড়েছে। সম্প্রতি কুনাল ঘোষের সঙ্গে দেখা করেছেন মুকুল রায়। আবারও মুকুল রায়কে নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। বিজেপিতে জায়গা না করতে পেরে ফের তৃণমূলে ফিরছেন মুকুল রায়? কিন্তুু এমন জল্পনায় মুকুল রায়ের কোনও দায় নেই বলে শুক্রবার দমদম বিমানবন্দরে জানিয়েছেন বিজেপির জাতীয় পরিষদের সদস্য।
তার এই মনস্তাত্বিক চাপের রাজনিতীতে মুকুল রায় আপাতত মনে হচ্ছে সফল। কারন আগামী শনিবার মুকুল রায়কে ফের দিল্লিতে যাবার অনুরোধ করেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তবে মুকুল রায় এখনও পর্যন্ত কিছু ঠিক করেননি।
মুকুল রায় ভালো করেই জানেন, এই মুহূর্তে তিনি বসে গেলে ক্ষতিহবে বিজেপির। ধাক্কাখাবে বিজেপির ২০২১ এর মিশন। তাই স্নায়ুযুদ্ধে পারদর্শী মুকুল রায় ফের শুরু করেছেন স্নায়ুযুদ্ধ। তবে এমন স্নায়ুযুদ্ধ চালিয়ে এবার মুকুল রায় রাজনৈতিক লাভ ওঠাতে পারেন কিনা তা সময় বলবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *