প্রধানমন্ত্রী ক্ষমা না চাইলেও দুঃখ প্রকাশ করা উচিত ছিল, বললেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়

সাথী দাস, পুরুলিয়া, ২৪ জানুয়ারি: ভিক্টোরিয়ায় নেতাজীর জন্মদিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত সরকারি অনুষ্টানে “জয় শ্রী রাম” ধ্বনি দেওয়াকে কেন্দ্র করে সমালোচনার ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। আজ পুরুলিয়ায় সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানালেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।

এদিন তিনি বলেন, “কুরুচির একটা বড় পরিচয়। রাজনৈতিক সঙ্কীর্ণতা দোষে দুষ্ট হলে এভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে কেউ ইঙ্গিত করতে পারে। ওটা কোনো ধর্মীয় সভা ছিল না। এটা পশ্চিমবঙ্গকে, পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতিকে অসম্মান করা, আমাদের সবাইকে ছোট করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ক্ষমা না চাইলেও দুঃখ প্রকাশ করা উচিত ছিল।” রাজ্যের মানুষকে ওই ঘটনাকে সমর্থন না করে অনুরোধ জানিয়ে সুব্রত মুখার্জি বলেন, “এটা কোনোভাবেই সমর্থন করবেন না, আগে নিন্দা করুন।”

আজ পুরুলিয়ার রবীন্দ্রভবনে ‘পঞ্চায়েতী রাজ পুরুলিয়া সংখ্যা’ নামের একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তিনি। বইটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে তিনি বলেন, “পঞ্চায়েতি রাজ শুধুমাত্র নির্বাচনে জয়লাভ নয়, পঞ্চায়েতি রাজ দেশ গঠনের জন্য তৈরি করা। ত্রিস্তর পঞ্চায়েতি রাজের শ্রষ্ঠা পশ্চিমবঙ্গ। তারপর ভারতবর্ষের সরকার একে গ্রহণ করে। তারপর এটা সংবিধানে গৃহীত হয়।”

ওই মঞ্চেই ভার্চুয়াল ভাবে তিনটি উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিল্যান্যাস করেন তিনি। ঝালদা ১ ব্লকের ওই স্কুলগুলি হল আদর্শ উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যায়তন, ওনা উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যায়তন ও শহীদ ক্ষুদিরাম বসু উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যায়তন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী সন্ধ্যারানী টুডু, জেলাশাসক অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়, জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দোপাধ্যায় সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনরা। এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না জেলার বহু পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিরা।

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here