
আমাদের ভারত, ২৬ মার্চ: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে ডেকেছেন বাংলার বিজেপির সাংসদদের। তাই আগামী মঙ্গলবার সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে রাজ্যের সব বিজেপি সাংসদ দিল্লি যাচ্ছেন। সূত্রের খবর, রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে সাংসদদের মুখ থেকে শুনতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
রাজ্যে একের পর এক নিয়োগ দুর্নীতি। সেগুলোর তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। কিন্তু সেই তদন্তের গতি নিয়ে অনেকের অভিযোগ রয়েছে। একই সঙ্গে বুথ স্তরে বঙ্গ বিজেপি কিভাবে কতটা শক্তি বাড়াতে পেরেছে, রাজ্যে একাধিক নেতাদের কাজ নিয়েও অনেক সময় অভিযোগ রয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। এই সব কিছু আলোচনায় উঠে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সুকান্ত বলেন, “মোদীজি আমাদের অভিভাবক। তিনি কোনো পরামর্শ দিলে সেটা আমাদের কাছে নির্দেশ। আমরা সর্বশক্তি দিয়ে সেটা পালন করি। এবারেও এই কৌতূহল নিয়েই যাবো, যে তিনি কোন পথ নির্দেশ করেন?”
সামনেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার পরই রয়েছে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোট। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে লোকসভা ভোট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তৃতীয় বার মোদীর নেতৃত্বে সরকার গড়ার জন্য ইতিমধ্যে বাংলায় পরিকল্পিত পদক্ষেপও করেছে দল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের বাছাই করা লোকসভা এলাকার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মোদীকে মুখ করে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে ব্যাপক হারে প্রচারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ঠিক করে দিয়েছেন কেমন ভাবে বুথ সংগঠন সাজাতে হবে।
কিন্তু মোদীর সঙ্গে বৈঠকে কি এইসব বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হবে? এই বিষয়গুলো দেখাশোনা করেন, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষ। তাই বিজেপি নেতৃত্বের অতীতের অভিজ্ঞতা বলেছে এই ধরনের বৈঠকে মোদী সার্বিকভাবে সাংসদদের কর্তব্য নিয়ে কথা বলেন। নিজ নিজ এলাকায় সংগঠন বিস্তারে কিভাবে কাজ করতে হবে সেটা বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের কোন কোন প্রকল্প নিয়ে আম আদমীর কাছে যেতে হবে, কিভাবে বিভিন্ন স্তরের নেতাদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে সে বিষয়ে দিক নির্দেশ করেন। মঙ্গলবারের বৈঠকেও সেই আলোচনাই হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। একইসঙ্গে বাংলার কোন এলাকার জন্য কি করা দরকার সেইসব খোঁজ নেওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।