আমাদের ভারত, ৩ আগস্ট: রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতারের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
মন্ত্রিসভায় বড় রদ বদল হয়েছে আজ। নয়া মন্ত্রিসভায় যেমন ৮ নতুন মুখ এসেছে। তেমনই বেশ কয়েকজনকে সরানো হয়েছে আবার বেশ কয়েকজনের দায়িত্ব ছাঁটাই করা হয়েছে। এই পুরো বিষয়টিকে আই ওয়াশ বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
ববি হাকিমের দায়িত্ব কমানো হয়েছে। মলয় ঘটককে সরানো হয়েছে। বাবুল সুপ্রিয়, পার্থ ভৌমিক, স্নেহাশিষ চক্রবর্তি’র মতো একাধিক নতুন মুখ এসেছে। আবার অরূপ বিশ্বাসের মতো অনেকের দায়িত্ব বাড়ানো হয়েছে। তৃণমূলের একাধিক নেতা মন্ত্রিসভার এই রদবদলকে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তুলে ধরা হিসেবে ব্যাখ্যা করলেও বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এটিকে আই ওয়াশ বলেই দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, “মন্ত্রিসভায় রদবদল আসলে আই ওয়াশের একটা চেষ্টা। উদয়ন গুহু কেমন মানুষ এটা গোটা বাংলার মানুষ জানে। ফলে তৃণমূল সরকারের কোনো ভাবমূর্তির পরিবর্তন হবে না। এটা শুধুমাত্র দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা।”
একাধিক নতুন মন্ত্রী করার বিষয়ে তিনি বলেন, “মন্ত্রিত্ব দিয়েছেন ভালো কথা, কিন্তু সেই মন্ত্রিত্বে আদৌ তাদের কতটা অধিকার থাকবে বা তারা স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত কতটা সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন সে বিষয়ে আমার সন্দেহ রয়েছে। কারণ এই দলে একটাই ল্যাম্প পোস্ট রয়েছে।” তিনি আরও বলেন,” মন্ত্রী হয়ে কি লাভ? মন্ত্রালয়ের অবস্থা তো ভাঁড়ের মা ভবানী। কোথাও কোনো কাজ করতে পারছেন না। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর শুধু নামেই দপ্তর। কোনো কাজ হয় না। কেন্দ্র সরকারের টাকা ডাইভার্ট করে কোথাও কিছু কিছু কাজ হয় তা ছাড়া বাকি সবই পড়ে থাকে।”
পরেশ অধিকারীকে সরিয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এক্ষেত্রে স্বচ্ছতার কোনো বিষয় নেই। বিষয়টা হচ্ছে চুরির সিস্টেমের ব্যাপার। এটা আসলে চুরি করার নতুন সিস্টেম। নতুন যারা আসছেন তারা নতুন উদ্যোমে চুরি শুরু করবেন। আগে যারা এসেছিলেন তারা চুরি করতে করতে হাঁপিয়ে উঠেছিলেন। কেউ আবার একা হয়ে গিয়েছিলেন। যারা নতুন আসছেন তারা নতুন উদ্যমে চুরি করতে শুরু করবেন।”
সুকান্ত মজুমদার কটাক্ষের সুরে বলেন, “তৃণমূলের ভেতরে একটা অর্ন্তদ্বন্দ্ব চলছে। দলের ভেতরের অবস্থা ভালো নয়। হরিশ চ্যাটার্জি বনাম হরিশ ব্যানার্জি চলছে। আর এই লড়াই আমরা বাইরে থেকে দেখছি আর হাততালি দিচ্ছি, উপভোগ করছি।”