আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ২৯ সেপ্টেম্বর: নীল সাদা পোশাক পরে স্কুলে আসতে হবে এরকম কোনো নিয়ম বাধ্যতামূলক নয়। নীল সাদা রঙের পোশাক পড়ুয়ারা ইচ্ছে হলে পরবে, না হলে পুরনো পোশাক পরে বিদ্যালয়ে আসতে পারবে বলে জানিয়ে দিল জলপাইগুড়ি জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক শিক্ষা)।
কয়েকমাস আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, সরকারি, সরকার- পোষিত ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের পোশাকের রং হবে নীল সাদা। পোশাকে থাকবে বিশ্ব বাংলার লোগো। সেই মর্মে মার্চ মাসে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার কথা ঘোষণা করে শিক্ষা দফতর। এরপর সরকারের পক্ষ থেকে বেশ কিছু বিদ্যালয়ে পোশাক দেওয়া হয়। আর তারপরেই শুরু হয় চরম বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ। জলপাইগুড়ি সহ বেশ কিছু জেলার ছাত্র ছাত্রীরা প্রতিবাদে সামিল হয়। বেশ কিছু জায়গার ছাত্র ছাত্রীরা ওই পোশাক ছিঁড়ে ফেলে দেয়। আর তারপরেই ছাত্র ছাত্রী ও অভিভাবকদের আন্দোলনের চাপে পিছু হঠল সরকার, “নীল সাদা পোশাক স্কুলে বাধ্যতামূলক নয়, বলে জানাল জলপাইগুড়ি জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক
প্রত্যেক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের নীল-সাদা রঙের পোশাক পরে স্কুলে আসতে হবে, সঙ্গে বুকে থাকবে রাজ্য সরকারের লোগো। এরকম সিদ্ধান্ত জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সরকারের বিরুদ্ধে। কিন্তু কোথাও এই নিয়ম বাধ্যতামূলক করা হয়নি, বলে জানাল জেলা বিদ্যালয় দফতর। একাংশ স্কুল পড়ুয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশে কাজে লাগিয়ে বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করার চেস্টা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ৷
বৃহস্পতিবার এসএফআই জলপাইগুড়ি শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে ডিআই অফিসে হাজির হয়ে দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখায়৷ স্কুলের পোশাক তৈরি করার নাম করে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। পোশাকের কাপড় নিম্নমানের দিয়ে দুর্নীতি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুললেন এসএফআই নেতা কর্মীরা। এ দিন শিক্ষা দফতরে স্মারকলিপি দিয়ে জেলা সভাপতি সাব্বির হুসেন বলেন, “স্কুলের নীল-সাদা পোশাক পরে আসতে হবে এরকম সিদ্ধান্ত বাধ্যতামূলক করা হয়নি৷ পড়ুয়ারা নিজের ইচ্ছেতেই পোশাক পরে আসতে পারবে। শিক্ষা দফতর তা জানিয়ে দিয়েছেন। তাই আন্দোলন নয়, পড়ুয়াদের কাছে এই বার্তা পৌছে দেওয়া হবে।”
ডিআই বালিকা গোলে বলেন, “নীল সাদা পোশাক পরে স্কুলে আসতে হবে এরকম কোনো নিয়ম নেই। কেন পড়ুয়ারা ক্ষুব্ধ হচ্ছে খারাপ ব্যবহার করেছে তা জানা নেই। কোনো স্কুল জোর করে পড়ুয়াদের নীল সাদা পোশাক পরে আসতেই হবে বলে চাপ দিতে পারবে না। এসএফআই এসেছিল, তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে সব বিদ্যালয়ে বিক্ষোভের খবর পেয়েছি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।”