অযোধ্যায় যাবে তারাপীঠ শ্মশানের মৃত্তিকা, নদীর জল

আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ২৮ জুলাই: রাম মন্দির নির্মাণের শুরুতে তারাপীঠ মন্দিরে ইট পুজো করে পাঠানো হয়েছিল অযোধ্যায়। এবার মন্দিরের ভূমি পুজো বা শিলান্যাস। তাই মঙ্গলবার তারাপীঠ মন্দিরে করা হল যজ্ঞ। দ্বারকা নদীর জল এবং জীবীতকুণ্ডুর জল, মহাশ্মশানের মৃত্তিকা ও যজ্ঞের চিতাভস্ম পাঠানো হল অযোধ্যার উদ্দেশ্যে। বিশ্বহিন্দু পরিষদের মাধ্যমে ওই কলস পৌঁছে যাবে ভূমি পুজোর স্থল অযোধ্যায়।

৫ আগস্ট অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের ভূমি পুজো করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভূমি পুজো উপলক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন সতীপীঠ থেকে যজ্ঞ ভস্ম, গঙ্গার জল, মৃত্তিকা পাঠানো হচ্ছে অযোধ্যার উদ্দেশ্যে। তারাপীঠ হচ্ছে সিদ্ধপীঠ। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ তারাপীঠে আসেন। তারাপীঠ শ্মশানের সামনে দিয়ে বয়ে যাওয়া দ্বারকা নদী উত্তর দিকে প্রবাহিত হয়। ফলে ওই নদীর জল গঙ্গার সমান পবিত্র বলে মানুষের বিশ্বাস। তাই দ্বারকা নদী এবং জীবীতকুণ্ডুর জল, শ্মশানের মৃত্তিকা নিয়ে মন্দির চত্বরে যজ্ঞ করা হয়। এরপর যজ্ঞের ভস্ম একটি পিতলের কলসে ভরা হয়। মোট তিনটি কলস নিয়ে কলকাতায় যাবেন বিশ্বহিন্দু পরিষদের নেতারা। সেখানে সমস্ত কলস একত্রিত করে পাঠানো হবে অযোধ্যায়। যজ্ঞাহুতি সম্পন্ন করেন তারাপীঠ মন্দিরের সেবাইত তন্ময় মুখোপাধ্যায়।

মন্দির কমিটির সদস্য নিখিল মুখোপাধ্যায় বলেন, “যখন অযোধ্যায় মন্দির নির্মাণের প্রস্তুতি চলছিল সেই সময় আমরা তারাপীঠে ইট পুজো করে অযোধ্যায় পাঠিয়েছিলাম। তাই যখন ভূমি পুজো হবে সেখানে আমরা বসে থাকি কিভাবে। তাই যজ্ঞ করে তার ভস্ম, নদী ও জীবীতকুণ্ডুর জল এবং শ্মশানের মৃত্তিকা কলসে ভরে বিশ্বহিন্দু পরিষদের হাতে তুলে দেওয়া হল”।

আরেক সেবাইত পুলক চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মা তারা সব দেবদেবীর ঊর্দ্ধে। ফলে মা তারাকে সামনে রেখেই রামের যজ্ঞ করা হল। যজ্ঞে ছিল
১১টি সিঙ্গার সাজ, কাঠ, এক কেজি ঘি। তিনটি পিতলের কলসে মৃত্তিকা, চিতা ভস্ম, নদী এবং জীবীতকুণ্ডুর জল পাঠানো হল”।

বিশ্বহিন্দু পরিষদের বিভাগীয় সাংগঠনিক শাখা সম্পাদক দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের সাড়ে চারশো বছরের ইচ্ছাপূরণ হল। ভূমি পুজোর সময় তারাপীঠের মতো সিদ্ধপীঠের পবিত্র জল, মৃত্তিকা ও যজ্ঞ কাজে লাগানো হবে। দেশের বিভিন্ন ধর্মীয়স্থান থেকে গঙ্গা জল, মৃত্তিকা পাঠানো হচ্ছে। তাই এখান থেকে যজ্ঞের ভস্ম, মৃত্তিকা, গঙ্গা জল আমরা আমদের কলকাতার কার্যালয়ে পাঠাব। সেখান থেকে এক সঙ্গে সব অযোধ্যায় নিয়ে যাওয়া হবে। ৫ আগস্ট ভূমি পুজোয় সেই জল ব্যবহার করা হবে”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *