আমাদের ভারত, কোচবিহার, ২৭ মে: গত তিনদিনে একটিও রিপোর্ট এসে পৌঁছয়নি কোচবিহারে, ফলে বাড়ছে আতঙ্ক। কোচবিহার জেলায় এই মুহূর্তে কোভিড ১৯ পরীক্ষার কোনও ব্যবস্থা নেই। নমুনা সংগ্রহ করে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। সূত্রের খবর মেডিকেল কলেজে পরিকাঠামোর অভাবে জমে যাচ্ছে অনেক নমুনা। কোচবিহার জেলায় মঙ্গলবার পর্যন্ত পাঁচ হাজারের বেশি নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হলেও রিপোর্ট এসে পৌঁছেছে প্রায় তিন হাজার, এখনো প্রায় ২০০০ রিপোর্ট আসা বাকি।
বর্তমানে জেলাতে ক্রমাগত আসছে ভিন রাজ্যের শ্রমিকরা। ইতিমধ্যেই ৫০ হাজারের বেশি শ্রমিক এসে পৌঁছেছে। তাদের মধ্যে যারা রেড জোনগুলি থেকে আসছে, তাদের সরকারি কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে, বাকিদের হোম কোয়ারেন্টাইন করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করা অত্যন্ত জরুরী বলে মনে করছে চিকিৎসকদের একাংশ। কিন্তু গত তিনদিন ধরে নামমাত্র নমুনা পাঠানো হয়েছে এই জেলা থেকে, আগে যেগুলো পাঠানো হয়েছিল সেই রিপোর্ট গত তিন দিনে আসেনি। ফলে চরম সমস্যায় পড়েছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা।
ইতিমধ্যেই কোচবিহার জেলায় দ্রুত নমুনা পরীক্ষার জন্য পরিকাঠামো গড়ে তোলার দাবি করেছে বিজেপি সহ বিরোধী দলগুলি। বিজেপি নেতা দীপ্তিমান সেনগুপ্ত অভিযোগ করেন, “ইতিমধ্যে জেলায় ৭০ হাজারের মতো পরিযায়ী শ্রমিক এসে পৌঁছেছে, তাদের কোনও পরীক্ষা হচ্ছে না, পরীক্ষার রিপোর্ট এসে পৌঁছাচ্ছে না, এই রকম চলতে থাকলে বিপদ আসন্ন, অবিলম্বে জেলায় পরীক্ষার দাবি জানাচ্ছি।”
এসএফআইয়ের পক্ষ থেকেও আজ জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এর দপ্তরে একটি ডেপুটেশন দেওয়া হয়, সেখানেও দ্রুত জেলা থেকে টেস্টিংয়ের দাবি করা হয়েছে।
এই নিয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “প্রশাসনের তরফ থেকে যথেষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, বিশেষ কিছু কারণে রিপোর্ট আসতে দেরি হলেও রিপোর্ট বন্ধ হয়নি।” তিনি বলেন, কোচবিহারে নমুনা পরীক্ষার জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্র চলে এসেছে, কয়েকদিনের মধ্যেই কোচবিহারে পরীক্ষা শুরু হবে।
জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুমিত গাঙ্গুলী জানিয়েছেন, “বেশ কিছু রিপোর্ট এখনো আসেনি যার ফলে সমস্যা হচ্ছে।”