পুরভোটের আগে পোস্তা সেতু নির্মাণে ফের উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার

নীল বনিক, আমাদের ভারত, কলকাতা, ২২ জানুয়ারি:
পোস্তার ভেঙ্গে পড়া বিবেকানন্দ উড়ালপুলের ভবিষ্যত নির্ধারণ করতে ফের উদ্যোগী রাজ্য সরকার। পুর ভোটের আগে ওই উড়ালপুল নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যই নতুন তৎপরতা শুরু হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। ভেঙ্গে পড়া উড়ালপুল নতুন করে চালু করা যায় কি না তা দেখতে বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে দায়িত্ব দিতে চলেছেন কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ। তার জন্য ইতিমধ্যেই টেন্ডার ডাকা হয়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর।

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, সব ঠিক থাকলে আসন্ন পুরভোটের আগেই উড়ালপুল পুনর্নির্মানের কাজ শুরু করা হতে পারে। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, এর আগে ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় নিয়োজিত কোনও সংস্থাই সঠিক ভাবে কিছু জানাতে পারেনি। ব্রিজটি মেরামত করা হবে, না পুরো ভেঙ্গে ফেলা হবে সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে নেওয়া হয়নি আগে। সে জন্য নতুন করে বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে দেওয়া হবে। তারা সবটা খতিয়ে দেখে হেলথ সেফটি সার্টিফিকেট দেবে। সেই মতো উড়ালপুলের ভেঙ্গে পড়া অংশ মেরামত করে কিভাবে আবার তা চালু করা যায়, তার জন্য পদক্ষপ করা হবে বলে জানিয়েছে ফিরাদ হাকিম।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিবেকানন্দ উড়ালপুলের বিপর্যয় তৃণমূল সরকারের কাছে অস্বস্তির। উড়ালপুলের একাংশ ভেঙ্গে বেশ কয়েক জনের প্রাণহানী হয়েছিল। তার পর বেশ কয়েক বছর কেটে গেলেও উড়ালপুলের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি সরকার। ফলে আসন্ন পুরভোটে বিষয়টিকে রাজনৈতিক হাতিয়ার করতে পারে বিরোধীরা। তাই পুরভোটের আগেই কাঁটা তুলে ফেলতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার।

কেএমডিএ’র ইঞ্জিনিয়াররা জানাচ্ছেন, বিবেকানন্দ উড়ালপুলের যে অংশটি এখনও অক্ষত রয়েছে, তার ভারবহন ক্ষমতা কতটা এবং গাড়ি চলাচলের উপযোগী কি না, সেটা পরীক্ষা করে দেখবে কনসালট্যান্ট সংস্থা। উড়ালপুলের কোনও অংশ দুর্বল হলে সেটাকে কী ভাবে শক্তিশালী করা যায়, সে ব্যাপারেও পরামর্শ নেওয়া হবে।

এদিকে যাত্রী নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকার দ্বিতীয় পর্যায়ে শহরের আটটি সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার কাজ শুরু করতে চলেছে। এই সেতুগুলো হল করুণাময়ী সেতু, আম্বেদকর সেতু, চেতলার সিসি সেতু, দুর্গাপুর সেতু, ঢাকুরিয়া সেতু, জীবনানন্দ সেতু, চিৎপুর সেতু ও উত্তর কলকাতার আরজিকর হাসপাতালের সামনে ক্যানাল সেতু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *