আমফান বিধস্ত বঙ্গে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সেনাবাহিনীর সাহায্য চাইল রাজ্য, ট্যুইট স্বরাষ্ট্র দফতরের, সাড়া সেনাবাহিনীর

রাজেন রায়, কলকাতা, ২৩ মে: ঘূর্ণিঝড় আমফান তাণ্ডবলীলা দেখিয়ে চলে যাওয়ার ৭২ ঘন্টা পরেও নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও এখনও কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গায় দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে অপারগ প্রশাসন। তাই এবার পরিস্থিতি সামলাতে সেনার সাহায্য চাইল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। শনিবার রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে ট্যুইটে এই কথা জানানো হয়েছে। সাহায্য চাওয়া হল রেল, বন্দর এবং বেসরকারি ক্ষেত্রগুলি থেকেও। কয়েক ঘন্টার মধ্যেই সেই আবেদনে সাড়া দিল সেনাবাহিনী।

শনিবার রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফ থেকে পরপর তিনটি ট্যুইট করা হয়েছে।

টুইটে পশ্চিমবঙ্গ স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে লেখা হয়েছে, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার সামগ্রিক ভাবে দিন রাত সর্বশক্তি প্রয়োগ করে ন্যূনতম পরিষেবা স্বাভাবিক করতে কাজ করছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে। এই কাজে সাহায্যের জন্য এবার সেনা তলব করা হয়েছে। রেল, বন্দর ও বেসরকারি ক্ষেত্রকে জনবল ও যন্ত্র দিয়ে সাহায্য করতে বলা হয়েছে।’

টুইটে আরও বলা হয়েছে, ‘পানীয় জল ও নিকাশি ব্যবস্থাকে সবার আগে সচল করতে হবে। যে সব জায়গায় পানীয় জল নেই, সেখানে পিএইচই-কে জলের পাউচ সরবরাহ করতে বলা হয়েছে। বিদ্যুতের প্রয়োজন মেটাতে জেনারেটর ভাড়া করা হচ্ছে। বিভিন্ন দফতরের কয়েকশো দলকে ভেঙ্গে পড়া গাছ কাটতে নামানো হয়েছে। যা বিদ্যুৎ পরিষেবা ফেরানোর প্রথম ধাপ। লকডাউন সত্বেও সিইএসসি এবং ডব্লুএসইডিসিএলকে সর্বোচ্চ লোকবল মোতায়েন করতে বলা হয়েছে। পুলিশকে অতি সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।’

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই রাজ্যের আবেদনের পরে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আরও ১০টি দল পশ্চিমবঙ্গে রওনা হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে ২৬টি দল মোতায়েন রয়েছে। অর্থাৎ রাজ্যের ৬ জেলায় এবার
৩৬টি দল মোতায়েন করা হবে। কিন্তু করোনা এবং আমফানের জোড়া ফলায় বিদ্ধ দ্রুত পরিস্থিতি সামলানো খুব সহজ হবে না, তা ভালভাবেই বুঝতে পারছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। সেই কারণেই সেনাবাহিনী-সহ রেল, বন্দর এবং বেসরকারি ক্ষেত্রের সাহায্য চাইল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে নেমে পড়েছে সেনাবাহিনী। শনিবার বিকেলেই সার্দান অ্যাভিনিউ-সহ একাধিক জায়গায় গাছ কাটতে নেমে পড়েছে সেনা জওয়ানরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *