পিন্টু কুন্ডু , বালুরঘাট, ২৫ জুন: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের ভাবমূর্তি ফেরাতে দক্ষিণ দিনাজপুরে ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল দেবাশীষ মজুমদার ও শুভাশিস পালকে। বৃহস্পতিবার বুনিয়াদপুরে অনুষ্ঠিত তৃণমূলের সাধারণ সভায় এমন কড়া সিদ্ধান্তের কথা শুনিয়েছেন তৃণমূলের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পর্যবেক্ষক রাজিব ব্যানার্জি।
দলীয় সূত্রে খবর রুদ্ধদ্বার ওই সভায়, রাজিব ব্যানার্জি একপ্রকার ধমক দিয়েই মেন্টর শুভাশিষ পালকে নীল বাতি ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছেন। একই সাথে গাড়ি থেকে মেন্টরের প্লেট খুলে রাখারও কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী তথা জেলার পর্যবেক্ষক। জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ এবং কার্যকরী সভাপতি গৌতম দাস ছাড়া আর কেউ শীর্ষ পদে থাকবেন না বলেও ওই সভায় একপ্রকার নিশ্চিত করেছেন রাজিব।
বর্তমানে কোর কমিটির সদস্য হিসেবে থাকলেও দেবাশীষ মজুমদার ও শুভাশিস পালের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার এক ধাক্কায় তলানিতে গিয়েই ঠেকল বলে মনে করছেন জেলার ওয়াকিবহল মহল। তৃণমূল কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে জেলায় দলের সাংগঠনিক ক্ষতি করেছে এই দুই নেতা। যে কারণে এদিন জেলা পর্যবেক্ষক রাজিব ব্যানার্জি তাঁদের ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, দলের আর কোনও পদে তাঁরা থাকবেন না বলেও স্পষ্ট করেছেন মন্ত্রী।
এ দিনের বৈঠকে প্রথম থেকেই মেন্টরের উপর চটে ছিলেন পর্যবেক্ষক, বলে দলীয় সূত্রে খবর। একই সাথে দেবাশীষ মজুমদারের নাম উল্লেখ না করে মন্ত্রী বলেন, দলের ক্ষতি হলে আপনাদের যেখান থেকে তুলে আনা হয়েছিল সেখানেই আবার রেখে আসা হবে।
এদিন সকলকে দলের হয়ে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জি। তিনি আরো জানিয়েছেন, কে দলে আসলো আর কে গেল তা দেখবার জন্য দল রয়েছে। আপনারা মাঠে নেমে কাজ শুরু করে দিন। লকডাউনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন এনাফ, এবার প্রত্যেকেই এলাকায় এলাকায় মানুষের সাথে যোগাযোগ রাখুন।
সভা শেষে বেরিয়ে সাংবাদিক দের সামনে অবশ্য এসব নিয়ে তেমন কোনও মন্তব্য করতে চাননি মন্ত্রী তথা পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় তিনি সাংবাদিকদের সামনে আনতে চান না।