আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ২২ মে: ওড়িশা-বাংলা সীমান্তে, পরিবার পরিজনের সাহায্য নিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ালো লকডাউনে গৃহবন্দি থাকা পড়ুয়ারা। এইভাবেই ব্যাঙ্গালোরের জ্যোতিনিবাস কলেজের
এমসিএ’র ছাত্রী সুদীপ্তা বালা ও মেদিনীপুর সররকারি পলিটেকনিকের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সুদীপ বালা, মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠ গার্লস হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সম্প্রীতি খাঁড়ারা কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুরাবস্থার খবর দেখার পর তারা পরিকল্পনা করে ওড়িশা থেকে জামশোলা-হাতিবাড়ি সীমান্ত দিয়ে যে সব পরিযায়ী শ্রমিকরা বাংলায় ঢুকছে তাদের কিছু জনকে তারা অন্তঃত একবেলা খাওয়াবে। সেইমতো মঙ্গলবার দুপুর থেকে শুরু হয় আয়োজন। ঠিক হয় জনা পঞ্চাশেক পরিযায়ী শ্রমিকদের তাঁরা রাত্রিবেলা আটার রুটি ও তরকারি খাওয়াবেন।
সন্ধ্যা ‘৭ টার আগেই মা-দিদাদের সাহায্য নিয়ে তৈরি হয়ে যায় ২০০ পিস আটার রুটি। আলু,পটল, সোয়াবিন দিয়ে তরকারির ব্যবস্থা করে ফেলা হয়। পুলিশ প্রশাসন মারফত খবর পাওয়া যায় হাতিবাড়ি গেটের কাছে ৩৫/ ৪০জন পরিযায়ী শ্রমিক আটকে রয়েছেন। তখন আমফানের প্রভাবে আকাশের মুখভার এবং মাঝে মাঝে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তারই মাঝে চল্লিশ জনের জন্য রুটি-তরকারি প্যাকিং হয়ে যায়। দুর্যোগ মাথায় নিয়েই মোটরবাইকে ছ কিমি দূরের হাতিবাড়ি চেকপোস্টের উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু করেন
সম্প্রীতির বাবা সুদীপ খাড়া। শেষমেষ একজন সিভিক ভলান্টিয়ার ও চেকপোস্টে থাকা পুলিশ কর্মীদের সহযোগিতায় ওড়িশা পুলিশের হাতে খাবার হস্তান্তর করেন সুদীপবাবুরা।