হেরিটেজ তকমা পাচ্ছে মৃৎশিল্পী গোপেশ্বর পালের স্টুডিও

রাজেন রায়, কলকাতা, ১৮ সেপ্টেম্বর: কুমোরটুলি এখনও হেরিটেজ স্বীকৃতি পায়নি। যা পেল কুমোরটুলির এক মৃৎশিল্পীর স্টুডিও। যদিও শিল্পী গোপেশ্বরকে আজ আর কারও মনে নেই। শিল্পী গোপেশ্বর বাবু ৮৮ বছর পেরিয়ে অবশেষে উৎকর্ষের স্বীকৃতি। হেরিটেজ তকমা পেতে চলেছে মৃৎশিল্পী গোপেশ্বর পালের স্টুডিও।

মহানগর কলকাতার ঐতিহ্যের মুকুটে জুড়তে চলেছে আর একটি পালক। জি পাল অ্যান্ড সন্স স্টুডিও। কুমোরটুলি ছাড়িয়ে ৪০-এ কাশী মিত্র ঘাট স্ট্রিটে রয়েছে জগৎবিখ্যাত শিল্পী গোপেশ্বর পালের এই সৃষ্টিক্ষেত্র, যার পথচলার সূচনা ১৯৩৩ সালে। প্রবাদপ্রতিম শিল্পীর এই স্টুডিওয় কে না রয়েছেন! শ্রীরামকৃষ্ণ, মা সারদা, স্বামী বিবেকানন্দ থেকে শুরু করে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-সহ বাংলার সব মনিষীর মৃৎমূর্তি। প্রয়াত শিল্পীর পরিবারের প্রস্তাব মেনে এবার সেখানে সংগ্রহশালা তৈরি করবে রাজ্য সরকার।

সম্প্রতি রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের সদস্যরা গিয়ে স্টুডিও পরিদর্শন করে এসেছেন। কমিশনের চেয়ারম্যান শিল্পী শুভাপ্রসন্ন ভট্টাচার্যের প্রতিক্রিয়া, “গোপেশ্বর পাল অসাধারণ মৃৎশিল্পী ছিলেন। তিনি কাউকে একবার দেখে মিনিটের মধ্যে অবিকল তাঁর মূর্তি তৈরি করতে পারতেন, হাতে যেন জাদু ছিল। ওঁর স্টুডিওকে এবার হেরিটেজ তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে তাঁর স্টুডিওকে সংগ্রহশালা করা হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *