সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ধাক্কা বিজেপির! ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ল কলকাতা পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর মেয়াদ

রাজেন রায়, কলকাতা, ৫ অক্টোবর: সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত দৌড়ঝাঁপ করেও কলকাতা পুরসভা রাজ্যের ১০০-রও বেশি পুরসভায় নির্বাচনের দরজা খুলতে পারল না বিজেপি। চলতি বছরে এই সমস্ত পুরসভায় নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও করোনা মহামারী সংক্রমণের কারণে তা সম্ভব হয়নি। ফলে ওই সব পুরসংস্থায় নিত্যদিনের কাজ চালানোর জন্য প্রশাসকমণ্ডলী বসায় রাজ্য সরকার।

কিন্তু কলকাতা পুরসভার ক্ষেত্রে কোনও প্রশাসক বা প্রশাসকমণ্ডলী বসানোর আইন না থাকলেও এই মহামারীকে কারণ হিসাবে তুলে ধরে রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরনিগমের বিদায়ী বোর্ডের মেয়র ফিরহাদ হাকিমকেই প্রধান প্রশাসক করে একটি প্রশাসকমণ্ডলী গড়ে কাজ চালাবার দায়িত্ব দেয় রাজ্য সরকার। কিন্তু বিশেষ করে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কলকাতা পুরভোটের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েও এভাবে সব বাতিল হয়ে যাওয়া পছন্দ হয়নি বিজেপি কার্যকর্তাদের। হাইকোর্টের পর সুপ্রিম কোর্টেও এই নিয়ে দায়ের হয়েছে মামলা। কিন্তু সেখানেও এদিন ধাক্কা খেতে হল বিজেপিকে।

এদিন সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হওয়া মামলার দ্বিতীয় দিনের শুনানি ছিল। মামলার বিষয় ছিল অবিলম্বে ফিরহাদ হাকিমকে প্রধান প্রশাসক পদ থেকে বরখাস্ত করা হোক ও কলকাতা পুরনিগমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হোক। পাশাপাশি মামলাকারীর আইনজীবী এদিন এই দাবিও করেন, বিহারে এই করোনার মধ্যে ভোট করানো সম্ভব হলে কেন কলকাতায় ভোট হবে না! যদিও এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফিরহাদ হাকিমের কলকাতা পুরনিগমের প্রধান প্রশাসক হিসাবে কাজ চালিয়ে নিয়ে যেতে কোনও সমস্যা নেই। ১৫ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট এই মামলা পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে। সেই দিন পর্যন্ত ফিরহাদের নেতৃত্বাধীন প্রশাসকমণ্ডলীই কলকাতা পুরসভা কাজকর্ম চালিয়ে যাবে।

আর বিহার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, বিহারে সংক্রমণ যতটা নিয়ন্ত্রণে আছে, পশ্চিমবঙ্গে ততটা নেই। তবে এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের অভিমতও গ্রহণ করা হবে পরবর্তী শুনানির দিন। স্বাভাবিক ভাবেই এই রায়ে স্বস্তিতে ফিরহাদ শিবিরও।

ফিরহাদ এদিন কলকাতা পুরসভার সাংবাদিক বৈঠকে জানান, ‘সুপ্রিম কোর্ট ডিসেম্বর মাসে এই ব্যাপারে ফের শুনানি হবে। সুপ্রিম কোর্টও এই পরিস্থিতিতে ভোট না করাতে চায়। কিন্তু এর মধ্যেই বিজেপি ভোট চায়। আসলে বিজেপি চায় মানুষ মেরে ভোট হোক। আমরা চাই মানুষ আগে সুরক্ষিত হোক।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *