আলিপুরদুয়ার শহরের ১২৪টি পুজো কমিটির পাশে দাঁড়ালো ব্যবসায়ীরা

আমাদের ভারত, আলিপুরদুয়ার, ২৮ সেপ্টেম্বর: বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসবকে কোভিড পরিস্থিতিতেও কিছুটা আলোকিত করতে এবার সরাসরি এগিয়ে এল ব্যবসায়ীরা। আলিপুরদুয়ার জেলাসদরে দুর্গাপূজা, কালি পূজা মিলিয়ে কমবেশি ১৫০-এর কাছাকাছি পূজা হয়ে আসছে। তাদের মধ্যে ১২৪টি পুজো কমিটিকে এবার সরাসরি নিজেদের সাধ্যমত আর্থিক সাহায্য করবে আলিপুরদুয়ার টাউন ব্যবসায়ী সমিতি। চাঁদা নয় ডোনেশন হিসেবেই আর্থিক সাহায্য করবে ব্যবসায়ী সংগঠনটি। স্বাভাবিকভাবেই কোভিড পরিস্থিতিতে ব্যাবসায়ীদের এই পদক্ষেপে উচ্ছ্বসিত পুজো উদ্যোক্তারা।

দুর্গাপূজার এখনো প্রায় ২০-২২দিন বাকি রয়েছে। তবে পুজো কমিটিগুলিকে তার অনেক আগেই অর্থ তুলে দেওয়া হবে। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানালেন সংগঠনের সম্পাদক প্রসেনজিৎ দে। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের অপর ৪ গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সভাপতি শান্ত চক্রবর্তী, জয়েন্ত সাহা ও সন্দীপ ভার্মা।

উল্লেখ্য, আলিপুরদুয়ারে অনেক বিগ বাজেটের পুজোই এবার আর কার্যত বড় পুজো থাকছে না। চাঁদা তোলা হবে না বলেও ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেশ কিছু ক্লাব। তবে মানুষের একটা অংশ পুজোর আনন্দ নিতে প্রস্তুত। বড় মন্ডপ না হলেও ঘটপুজো চাইছে না অনেকেই। যদিও রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই পুজো কমিটিগুলিকে ৫০ হাজার টাকা অনুদান দিচ্ছে। ঘোষণা হবার পর বেশ কিছু ক্লাব ইতিমধ্যেই নতুন করে ভাবনা চিন্তাও শুরু করেছে। এমনই একটা সময় নজিরবিহীন পদক্ষেপ আলিপুরদুয়ার টাউন ব্যবসায়ী সমিতির। প্রসেনজিতবাবু বলেন, আলিপুরদুয়ারে যেকোনও বিষয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে ব্যবসায়ীরা। প্রচুর উদাহরন আছে। আমরা চাই কিছুটা অন্তত আনন্দ পাক মানুষ। এখন আনলক দশা চলছে। মানুষ ঘর বন্দি থাকলে মানসিকভাবেও অসুস্থ হয়ে যায়। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে সতর্ক হয়ে সাবধানে যোগ দিক সকলে। করোনা পরিস্তিতিতে কিছুটা আনন্দ নিক। তাই আমরা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে কমিটিগুলিকে সাধ্যের মধ্যে ডোনেশন দেব।আর্থিকভাবে দুর্বল কোন ব্যবসায়ীদের চাপ দেওয়া হবে না।উৎসব শুধু সাধারণ মানুষদের জন্য নয়, ব্যবসায়ীদেরও আনন্দ দেবে পুজোর ৪ দিন। প্রকৃতি আমাদের অনেকটা সময় দিয়েছে। আশা করছি কিছুটা হলেও ক্লাবগুলি নিজেদের গুছিয়ে এবারের পুজো উপহার দিতে পারবে।”

ব্যবসায়ী সমিতির এগিয়ে আসাকে স্বাগত জানিয়েছেন বিভিন্ন মহল। জেলা সদরের একটি অংশের মানুষ সাফ জানিয়েছেন, আর যাই হোক নমনম করে ঘটপুজো আম বাঙ্গালি পছন্দ করবে না। বিরাট জাঁক জমক না হলেও চলবে। তবে দৃষ্টিনন্দন কিছু হোক। নতুন কোনও ভাবনা থাকুক, যা নিজেদের বাজেটের মধ্যেই থাকবে ক্লাবগুলির। কোভিডে আনলক পরিস্থিতিতে গোটা দেশ যখন স্বাভাবিক হচ্ছে, তখন পুজোর চারটি দিন আনন্দে থাকুক মানুষ। শুধু দুর্গা পুজোই নয়, কালিপুজো নিয়েও ভাবুক ক্লাব বা পুজো কমিটিগুলি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *