
নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার, ৪ আগস্ট: কোচবিহার জেলায় লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর তৃণমূল কংগ্রসের ব্লক কমিটি ভেঙ্গে বিধানসভা ভিত্তিক কমিটি তৈরি করেছিল। এবার বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের ব্লক কমিটিতেই ফিরে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর ব্লক কমটির সভাপতি পদে নতুনদের প্রাধান্য দিচ্ছে দল। তবে, প্রধান বিরোধী দল বিজেপি এই পরিবর্তনকে কোনও গুরুত্ব দিচ্ছে না।
ইতিমধ্যে কোচবিহার জেলায় নেতৃত্বের পরিবর্তন ঘটিয়েছে দল। জেলা সভাপতি করা হয়েছে পার্থপ্রতিম রায়’কে। এবার ব্লক ও অঞ্চলের নেতৃত্বে পূনর্বিন্যাস করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে পরাজয়ের ফলে তৃণমূলের অত্যন্ত শক্ত ঘাঁটি কোচবিহারে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ব্যাকফুটে শাসক দল। বিধানসভার বিচারে জেলার নটি বিধানসভার মধ্যে সাতটিতে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে ফের একবার ব্লক কমিটিগুলি ফিরিয়ে আনতে চলেছে দল। জানাগেছে, জেলার ১৭ টি ব্লক কমিটিকে পুনঃগঠিত করে ২২টি করা হচ্ছে। বিধানসভা নির্বাচনে নিজেদের সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে নতুন মুখের প্রাধান্য দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।
জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “ব্লকগুলি পুনর্বিন্যাস করে ব্লক সভাপতিদের দায়িত্ব দেওয়া হবে, এরপর কিছু কিছু অঞ্চল কমিটির পরিবর্তন করা হবে। সবকিছুই বিধানসভা নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে দলকে শক্তিশালী করতে রাজ্য নেতৃত্বর নির্দেশ অনুসারে করা হচ্ছে”।
এর আগে বিধানসভা ভিত্তিক কমিটি তৈরি হওয়ায় জেলার ব্লক সভাপতির পদ হারিয়েছেন অনেকেই। সূত্রের খবর যারা পদ হারিয়েছেন তাদের নতুন করে তৈরি হওয়া কমিটিতে থাকার সুযোগ কম। দল এবং পিকে টিম চাইছে, স্বচ্ছ ভাবমূর্তির ব্যক্তিদের ব্লক সভাপতির দায়িত্ব দিতে। এক্ষেত্রে নতুন ব্লক সভাপতিদের নামের তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর ফের কোচবিহারে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে দলেরই একাংশ।
যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠনের এই রদবদলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি। দলের জেলা সভানেত্রী মালতি রাভা রায় বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস যা পরিবর্তন করুক কোনও লাভ হবে না, মানুষ ঠিক করেছে তৃণমূলকেই পরিবর্তন করে দেবে।