যবনিকা পড়ল! আস্থা ভোট হচ্ছে না মহারাষ্ট্রে

আমাদের ভারত, ২৯ জুন:
যেদিন আস্থাভোটের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট, সেদিনই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিলেন উদ্ধব ঠাকরে। ফেসবুক লাইভে নিজের ইস্তফার কথা ঘোষণা করেছেন উদ্ধব ঠাকরে। জানা যাচ্ছে, রাতেই রাজ্যপালের হাতে ইস্তফাপত্র তুলে দেবেন তিনি। এর ফলে মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বৃহস্পতিবার আর আস্থা ভোট হচ্ছে না।

ফেসবুক লাইভে উদ্ধব ঠাকরে বলেন, নিজের লোকেরাই বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। আস্থাভোটে যোগ দেব না। তিনি মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল, সোনিয়া গান্ধী ও শরদ পাওয়ারকে ধন্যবাদ জানান। উদ্ধব বলেন, আমরা আপনাদের আশীর্বাদ নিয়ে সরকার চালিয়েছি। শিবাজীর আদর্শ মেনে কাজ করেছি। কৃষি ঋণ মুকুবের চেষ্টা করেছি।রিকশা চালকদের মন্ত্রী-সংসদ করেছি। কিন্তু সবকিছু দিয়েও তাদের সন্তুষ্ট করতে পারিনি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে নিচ্ছি।

মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক ডামাডোল চরমে উঠেছে গত কয়েকদিনে। ১৬ জন বিধায়কের বিধায়ক পদ খারিজের আর্জি নাকচ করা সহ বৃহস্পতিবার বিধানসভায় আস্থাভোটের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যপাল। এর বিরুদ্ধে পাল্টা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল উদ্ধব ঠাকরে। তাদের দাবি ছিল, আগে ১৬ জন বিধায়কের বিধায়ক পদ খারিজের বিষয়টি নিস্পত্তি হোক তারপর আস্থা ভোট হবে। ঘণ্টা তিনেক ধরে মামলার শুনানি চলে সুপ্রিমকোর্টে। কিন্তু আস্থাভোটের নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি করতে রাজি হয়নি দেশের শীর্ষ আদালত। এরফলে বৃহস্পতিবার আস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হতো উদ্ধব ঠাকরেকে।

হিসেব বলছে উদ্ধবের পক্ষে শিবসেনার ১৭ বিধায়ক, এনসিপির ৫৩ জন বিধায়ক, কংগ্রেসের ৪৪ জন বিধায়ক ও অন্যান্য ১৩ জন বিধায়ক ছিল। অন্যদিকে দিকে উদ্ধবের বিপক্ষে শিবসেনার ৪১ জন বিধায়ক, বিজেপির ১০৬ জন ষ, নির্দলের ৯ জন অন্যান্য ৭ জন বিধায়ক।
অর্থাৎ বিধানসভায় সংখ্যার বিচারে সরকার বাঁচানো সম্ভব ছিল না। তাই বুধবার রাত ৯টায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেই রাতে ফেসবুক লাইভে আসেন উদ্ধব ঠাকরে এবং মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। আর এর ফলেই বৃহস্পতিবার আর আস্থা ভোট হচ্ছে না।

শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের পতত্যাগে সাথে পতন হল ৩১ মাসের মাসের মহা বিকাশ আগারি জোট সরকারের। উদ্ধবের ইস্তফা ঘোষণার সাথেই গত ১০ দিনে রাজনৈতিক নাটকের যবনিকা পরল মহারাষ্ট্রে বলে মনে করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *