আমাদের ভারত, ২৬ সেপ্টেম্বর:
সম্প্রতি তামিলনাড়ু তিরুচিরাপল্লী জেলার একটি হিন্দু অধ্যুষিত গোটা গ্রামের মালিকানা দাবি করেছে ওয়াকফ বোর্ড। তাদের দাবি থিরুচেন্দুরাই নামে ওই গ্রামের পুরো সম্পত্তি তাদের। এই ঘটনা সামনে উঠে আসতেই মাথায় হাত পড়েছে ওই গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরীহ মানুষের। দ্যা কমিউন নামে এটি নিউজ পোর্টালে এই বিষয়ে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
মারাত্মক এই ঘটনায় জানা গেছে, ওই গ্রামের এক বাসিন্দা যখন তার মেয়ের বিয়ের জন্য জমি বিক্রি করতে গিয়েছিলেন। রাজগোপাল নামের ওই ব্যক্তি যখন জমির রেজিষ্টার অফিসে যান, সেখান থেকে তাকে বলা হয় ওয়াকফ বোর্ডের কাছে থেকে তাকে এনওসি নিয়ে আসতে হবে তবেই সে ওই জমি বিক্রি করতে পারবে। কারণ কিছুদিন আগে ওয়াকফ বোর্ডের তরফে ওই জমির মালিকানা দাবি করে রেজিষ্টার অফিসে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। ২৫০ পাতার চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে তামিলনাড়ুর ১০ হাজার একর জমির মালিকানা এখন ওয়াকফ বোর্ডের অধীনে রয়েছে।
রিপোর্ট অনুসারে রাজাগোপাল নামে ওই ব্যক্তির মালিকানাধীন ১.২ একর জমি ছিল, যা নাকি আদতে তামিলনাড়ু ওয়াকফ বোর্ডের। কাবেরী নদীর তীরে অবস্থিত ওই গ্রামে সংখ্যাগরিষ্ঠ বাসিন্দা হিন্দু। কিন্তু এখন ওই পুরো গ্রামটিই ওয়াকফ বোর্ডের অন্তর্গত।
রাজা গোপাল জানিয়েছেন, তিনি ৯০ এর দশকে ওই গ্রামে জমি কিনেছিলেন। কিন্তু তখন সেটা ওয়াকফ বোর্ডের জমি ছিল না। কিন্তু এখন কীভাবে সেটা ওয়াকফ বোর্ডের দখলে চলে গেছে সেটা বুঝতে পারছেন না কেউ।
জমির মালিক হওয়া সত্ত্বেও মেয়ের বিয়ের জন্য জমি বিক্রি করতে গিয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে, এই ঘটনায় তিনি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে আত্মহত্যার কথাও চিন্তা করেছেন।
তবে শুধু রাজাগোপাল নয়, গ্রামের যেকোনো বাসিন্দাই তাদের জমি বিক্রি করতে গেলে সমস্যায় পড়বে। এই অবস্থায় মঙ্গলবার গ্রামবাসীরা ওয়াকফ বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করলেও অচলাবস্থার কোনো সমাধান হয়নি।
এর আগে গ্রামের কেউই এই বিষয়ে অবগত ছিলেন না। রাজা গোপালের ঘটনার পর গোটা বিষয়টি সকলের নজরে আসে।
বিজেপি নেতা ত্রিচি আল্লুর প্রকাশ জানিয়েছেন, ওই গ্রামে ১৫০০ বছরের পুরোনো একটি মন্দির আছে। ওই মন্দিরের অধীনে ৩.৬৯ একর জমি আছে।
আর এর থেকেই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে এই জমি কীভাবে ওয়াকফ বোর্ডের হয়। এমনকি গ্রামের প্রতি বাসিন্দার কাছে তাদের সম্পত্তির মালিকানা রয়েছে তখন কীভাবে গোটা গ্রাম ওয়াকফ বোর্ডের অধীনে চলে যায়?