
সাথী প্রামানিক, আমাদের ভারত, পুরুলিয়া, ১০ জানুয়ারি: পুরুলিয়ার হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চুরির ঘটনা ঘটেই চলেছে। কাল দিনের আলোর মধ্যেই ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই মর্মে পুরুলিয়া সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে কর্তৃপক্ষ। দেখা গিয়েছে হাসপাতালে কয়েক বছর ধরে নিয়মিত জানালা ভেঙ্গে ৫টি সিলিং ফ্যান, কাঠের ও স্টিলের দুটি আলমারি, অন্যান্য আসবাব সঙ্গে মূল্যবান কিছু কাগজও চুরি করে পালায় দুষ্কৃতীরা গত বছরের অগাষ্ট মাসে। তার তিন মাস আগেও এখানের জানালা ভেঙ্গে বিভিন্ন মূল্যবান সামগ্রী ও সরঞ্জাম চুরি হয়। এই নিয়ে বেশ কয়েকবার চুরির ঘটনা ঘটায় চাপে পড়ে যায় পুরুলিয়া সদর থানার পুলিশ। তবে এর কিনারা এখনও করতে পারেনি পুলিশ।
পুরুলিয়া পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত দুলমি এলাকায় এই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালটি অবস্থিত। পঠন পাঠন বা ইনডোর পরিষেবা না থাকলেও দুবেলা বহিঃর্বিভাগ খোলা থাকে। প্রতিদিন পঞ্চাশ জন রোগী নিখরচায় চিকিৎসা পরিষেবা পেয়ে থাকেন। গত বছর মেডিক্যাল কলেজটি পুনরায় সরকারিভাবে অধিগ্রহণ করে চালু করতে উদ্যোগী হয় রাজ্য সরকার। সেই বছরের ২৫ মার্চ রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের আয়ুষ বিভাগ থেকে একটি প্রতিনিধি দল পরিদর্শন করে সেই আশার কথা শুনিয়ে যান। ওই দলে ছিলেন হোমিওপ্যাথি বিভাগের সহকারি নির্দেশক ডা: আশীষ কুমার ঘোষ সহ তিন জন। এছাড়াও ছিলেন জেলার মেডিক্যাল অফিসাররা। পরিকাঠামো থেকে শুরু করে কাগজপত্র দেখে রিপোর্ট জমা করেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। তারপর থেকে হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চালুর আশার আলো দেখছে জেলা পুরুলিয়া। আর এর মধ্যেই লাগাতার চুরি হয়।
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ও সম্পাদক ডা: মণিন্দ্রনাথ জানা বলেন, “কিছু দুষ্কৃতী নির্জনতার সুযোগ নিয়ে রাতে দরজার তালা ভেঙ্গে মূল্যবান সামগ্রী, সিলিং ফ্যান, আলমারি, জানালা চুরি করে নিয়ে যায়। পুলিশের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সরেজমিনে তদন্তও করেছিল, কিন্তু কোনও কিনারা হয়নি। গতকাল দিনের বেলায় চুরি করে দুষ্কৃতীরা। থানায় লিখিত অভিযোগ দিই।”