আমাদের ভারত, কলকাতা, ২৪ মে: পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের উপযুক্ত কাজের দাবিতে মঙ্গলবার মিছিলের ডাক দিয়েছে গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতি (এপিডিআর)। এই সঙ্গে লোকায়ুক্ত পদ ও স্বশাসিত সংস্থাগুলি চালু করার দাবিতে লাগাতার আন্দোলনে সামিল হচ্ছে এপিডিআর।
এপিডিআর-এর সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত শূর মঙ্গলবার জানান, আপনারা অবগত আছেন যে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য মানবাধিকার কমিশন গত ৫ মাস ধরে পুরোপুরি অচল। কমিশনের চেয়ারম্যান নেই। বিচারবিভাগীয় সদস্য নেই। দুজনই অবসর নিয়েছেন। শুধুমাত্র প্রাক্তন আইপিএস নাপরাজিত মুখোপাধ্যায় রয়েছেন বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসাবে। শাসক ও প্রধান বিরোধী দলের বিরোধে কমিশন অচল হয়ে রয়েছে।
সোমবার এপিডিআর-এর বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত চর্চা হয়। ঠিক হয়, বিষয়টি নিয়ে এপিডিআর ধারাবাহিক প্রচার আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করবে। মিছিল, সভা, পোস্টার-অভিযান যেখানে যা সম্ভব। সম্পাদকমন্ডলী মধ্য কলকাতায় একটি মিছিল এবং শহরের দুই প্রান্তে দুটো সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১ জুন হাজরা মোড় ও ৯ জুন শ্যামবাজারে হবে মিছিল।
মঙ্গলবার, বিকেলে কলেজ স্ট্রিট থেকে মিছিল হবে। ধর্মতলায় মিছিল শেষে বিধানসভার স্পিকার ও রাজ্যপালকে স্মারকলিপিও দেওয়া হবে। এপিডিআর এর সব শাখা ও জেলা কমিটিগুলোও নিজেদের সাধ্য ও সুবিধামত এই বিষয়ে কর্মসূচি নেবে। প্রচার করবে। পোস্টারে প্রচার করবে। মানবাধিকার কমিশন চালু না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।
একইভাবে এরাজ্যে লোকায়ুক্ত পদ শূণ্য। শীঘ্রই শূণ্য হতে চলেছে তথ্য কমিশনার পদও। আমাদের দাবী, কোনও তালবাহানা নয়। অবিলম্বে কমিশনগুলির চেয়ারম্যান ও সদস্যের শূন্য পদে নিয়োগপত্র দিয়ে কমিশনগুলিকে সচল ও কার্যকরী করে তুলতে হবে।
শাসক ও বিরোধী দলের বিরোধে সাধারণ মানুষের অধিকারকে বলি দেওয়া চলবে না। বিরোধী দলনেতাকে প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়া সরকারের দায়িত্ব। কিন্তু সেটাকে অজুহাত করে বারবার মিটিংয়ে না গিয়ে সাধারণ মানুষের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দেওয়াও নিন্দনীয় কাজ।
এটা ঠিকই মানবাধিকার কমিশনগুলো থেকে খুব একটা কিছু পাওয়া যাচ্ছিল না। নাম কা ওয়াস্তেই থাকছে। সেটা আরেকটা লড়াই। সেই লড়াইটাও লড়তে হবে এপিডিআরকে। গণনজরদারি বাড়াতে হবে। কিছু করে না বলে ছেড়ে দেওয়া ঠিক হবে না। কমিশনগুলিকে সরকার যাতে কুক্ষিগত করতে না পারে সেটা দেখার দায়িত্ব নাগরিকদেরই।
তাই আমরা সবাই, অবিলম্বে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য মানবাধিকার কমিশন সহ সব কমিশন ও স্বশাসিত সংস্থাগুলি চালু করার দাবিতে লাগাতার আন্দোলনে সামিল হচ্ছি।“