খেজুরিতে হার্মাদ মুক্ত দিবসে মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর পদযাত্রায় ব্রাত্য তৃণমূল

আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ২৪ নভেম্বর: তৃণমূলকে দুরে সরিয়ে রেখেই ২৪ নভেম্বর খেজুরিতে হার্মাদ মুক্ত দিবস উদযাপন করলেন রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। এই উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে পদযাত্রা করেন শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূলের চিহ্ন ছাড়াই অরাজনৈতিক ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়।

হার্মাদ মুক্তি দিবসের পদযাত্রা থেকেও শুভেন্দু অধিকারীর মুখে শোনা যায়নি রাজনীতির বক্তব্য। উল্টে খেজুরির বিগত দিনের ইতিহাস শোনাগেল তার মুখে। সম্পূর্ণ এড়িয়ে গেলেন রাজনৈতিক প্রসঙ্গ। এই পদযাত্রায় তৃণমূলের কোনও পতাকা বা কোনও নেতা-নেত্রীর ছবি ছিল না। এই পদযাত্রা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস বা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও শোনা যায়নি একবারের জন্যও। উল্টে মিছিলে থাকা মানুষজনের মুখে শোনা গেল, “শুভেন্দুদা এগিয়ে চলো খেজুরিবাসী সঙ্গে আছে”। 

পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারী শুভেন্দু অনুগামীদের উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো। শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও এই পদযাত্রায় যোগ দিয়েছেন উত্তর কাঁথির বিধায়ক বনশ্রী মাইতি, খেজুরি বিধায়ক রণজিত মণ্ডল, জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র মধুরিমা মণ্ডল, জেলা তৃণমূল সম্পাদক কনিস্ক পণ্ডা সহ একাধিক তৃণমূল নেতৃত্ব।

এদিন খেজুরি হার্মাদ মুক্ত দিবসের বর্ষপূর্তিতে বাঁশগোড়া থেকে কামারদা পর্যন্ত প্রায় তিন কিমি পদযাত্রা করেন শুভেন্দু অধিকারী। হাতে ছিল না দলের পতাকাও। উল্টে শুভেন্দুর হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, “২৪ নভেম্বর খেজুরি হার্মাদ মুক্ত দিবস পালন করুন।” পথে যাত্রা শেষে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের মধ্যেও ছিল না কোনো রাজনৈতিক প্রসঙ্গের উল্লেখ।
পদযাত্রা শেষে তিনি তার ভাষণে খেজুরির পুরোনো দিনের কথা মনে করিয়ে বলেন, “কামারদাতে যেখানে হার্মাদ বাহিনী ছিল সেখানে আমি এসেছিলাম। বন্দুক রাখা ছিল টেবিলের ওপরে। মনের জোরকে সম্বল করে তাড়া করেছিলাম। সেই তাড়া করার ১৫- ২০ মিনিট পরে পিলপিল করে জনতা আমার সঙ্গ দিতে শুরু করেছিল। বেলা আড়াইটার সময় দেউলপোঁতা হয়ে ক‍্যানেল পেরিয়ে হার্মাদ বাহিনী শুনিয়ার চরে গিয়ে আশ্রয় নেয় এবং তারপরে খেজুরি হার্মাদ মুক্ত হয়। সেই গণতন্ত্র, সেই স্বাধীনতা, সেই শান্তি বজায় থাকুক এইটুকু প্রার্থনা করি।” আরও তিনি বলেন, “আমরা সকলে ভালো থাকি, একসঙ্গে থাকি, মানুষের মঙ্গলে কাজ করি এবং এই শান্তি, এই গণতন্ত্র, এই বাক স্বাধীনতা চিরস্থায়ীতে পরিণত হোক এই প্রার্থনা করি। আমি ২০১০এ এসেছিলাম। ২০১১ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত এসেছিলাম এবং আজকেও এলাম।”

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here