আমাদের ভারত, ১০ জুন: আবার কিছু দিনের মধ্যেই করোনার তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে বলে অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। সংক্রমণের এই নতুন ঢেউয়ে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি বলেও দাবি করা হচ্ছে। সেই জন্যই সামগ্রিকভাবে প্রস্তুতি সেরে রাখা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ১৮ বছরের কম বয়সীদের কিভাবে করোনা পরীক্ষা থেকে চিকিৎসা হবে তা নিয়ে বিস্তারিত গাইড লাইন প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
প্রকাশিত গাইডলাইনে বলা হয়েছে, শিশুদের করোনা চিকিৎসায় অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ রেমডেসিভির যেনো ব্যবহার না করা হয়। ১৮ বছরের কম বয়সীদের জন্য এই ওষুধটি কতটা সুরক্ষিত বা কার্যকরী সে বিষয়ে যেহেতু প্রয়োজনীয় তথ্য নেই তাই এই ওষুধ ব্যবহার করা উচিত নয়।
এছাড়াও স্বল্প এবং মাঝারি উপসর্গযুক্ত কোভিড আক্রান্ত শিশুদের জন্যৎস্টেরয়েড ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। করোনা আক্রান্ত শিশুদের ফুসফুস বা হৃদযন্ত্রে সংক্রমণে কতটা প্রভাব পড়ছে তা জানতেই ৬ মিনিটের হাঁটা পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে। শিশুদের কার্ডিও পুলমনারিটলারেট যাচাই করতে বাড়ন্ত শিশুদের হাতে পালস অক্সিমিটার লাগিয়ে একটি বদ্ধ ঘরে টানা ৬ মিনিট হাঁটতে বলা হয়েছে। তাতে যদি অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯৪-র নিচে থাকে বা হঠাৎ করে ৩-৫ পর্যন্ত স্যাচুরেশন কমে যায়, তাহলে তাদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে অক্সিজেন দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। কিন্তু যাদের অ্যাজমা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা করা হবে না।
যদি কোনো শিশুর গুরুতরভাবে করোনার উপসর্গ দেখা দেয় তবে দ্রুত অক্সিজেন থেরাপি শুরু করার কথা বলা হয়েছে। দেহের জল ও ইলেকট্রোলাইটের মাত্রা বজায় রাখতে হবে। প্রয়োজনে কর্টিকোস্টেরয়েড থেরাপিও শুরু করা যেতে পারে।
৫ বছরের নিচের শিশুদের মাস্ক না পড়লেও চলবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তবে ৬-১১ বছর বয়সী বাবা-মায়েদের নজরদারিতে মাস্ক ব্যবহারের বিধান দেওয়া হয়েছে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের মত সংক্রমণ দেখা দিয়েছে চারিদিকে। তাই করোনা আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে এই রোগের কোন রকম উপসর্গ দেখা গেলেই দ্রুত চিকিৎসা শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খুব প্রয়োজন নাহলে হাই রেজুলেশনের সিটিস্ক্যান করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।