এবার জামবনিতে কুড়মিদের হাতে ঘেরাও মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া

পার্থ খাঁড়া, ঝাড়গ্রাম, ১৯ মে: দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীর পর এবার কুড়মিদের হাতে ঘেরাও মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। বৃহস্পতিবার বেলপাহাড়ি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের নবজোয়ার কর্মসূচির প্রস্তুতি বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য বেলপাহাড়ি যাচ্ছিলেন মানস ভুঁইয়া। পথে জামবনির মোড়ে ঘাঘর ঘেরা কর্মসূচিতে ঘেরাও হন তিনি।

জামবনির মোড়ের কাছে হাতে হলুদ পতাকা, মাথায় হলুদ গামছা বেঁধে, “জয় গরাম” স্লোগান দিতে থাকে কুড়মি সামাজিক সংগঠনের মানুষজনরা। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি রাজেশ মাহাতো। গাড়ি থেকে নেমে মানস ভুঁইয়া কুড়মি নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। মন্ত্রী তাদের কাছ থেকে দাবি পত্র নিয়ে রাখেন। মানসবাবু তাদের বলেন, “আমি আপনাদের সমাজের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা জানাই। আমার রাজনৈতিক এবং সামাজিক জীবনে আপনাদের সাথে সম্পর্ক ভালো। মুখ্যমন্ত্রীও খুবই সহানুভূতিশীল। তবে টেকনিক্যাল সমস্যা মেটাতে কোথায় কী হচ্ছে একটু স্টাডি করতে দিন, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এবং মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হবে। আলোচনার মাধ্যমে একটা জায়গায় আসতে পারবো আশা করছি। প্রশাসনিক ভাবে চূড়ান্ত করবে কেন্দ্র, রাজ্যের ক্ষমতা নেই। তবে কি কি করনীয় তা পর্যালোচনা করে দেখবো। আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তর, সিআরআই দপ্তর নিশ্চয় পর্যালোচনা করবে। মুখ্যমন্ত্রীর উপর আস্থা রাখুন, তিনি সহানুভূতিশীল।

মানস ভুঁইয়া কুড়মিদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে ভুল বুঝবেন না। তিনি আপনাদের প্রতি মানবিক, সহানুভূতিশীল, আপনাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমি আপনাদের বার্তা উনার কাছে পৌঁছে দেব।”

রাজেশ মাহাত বলেন, “৭৩ বছরের বঞ্চনা। রাজ্য সরকারের যা করনীয় তার অনেকটাই করেছে। তবে আর একটু কাজের জন্য কেন বসে থাকতে হবে।”

এসটি তালিকা অন্তর্ভুক্তকরণের দাবিতে কুড়মিদের ঘাঘর ঘেরা কর্মসূচি শুরু হয়েছে জঙ্গলমহল জুড়ে। সেই ঘাঘর ঘেরা কর্মসূচিতে জঙ্গলমহলে আসা জনপ্রতিনিধিদের ঘেরাও করে তাদের আন্দোলন প্রসঙ্গে জনপ্রতিনিধির মতামত জানা হচ্ছে। কয়েকদিন আগে লালগড়ে ঘেরাও হয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেদিন দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের জেরে যথেষ্ট ক্ষিপ্ত হয়েছেন কুড়মিরা। সেই বিতর্ক বেড়েই চলেছে। অপরদিকে গতকাল বুধবার বাঁকুড়ায় ঘাঘড় ঘেরায কর্মসূচির মধ্যে পড়েন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *