রাজেন রায়, কলকাতা, ১৯ নভেম্বর: গঙ্গাসাগর মেলার গাইড লাইন ঠিক করতে বৃহস্পতিবার নবান্নে আয়ােজিত হয়েছিল একটি ভার্চুয়াল বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় – সহ অন্যান্য শীর্ষ আধিকারিকরা। গঙ্গাসাগর মেলার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত দফতরের আধিকারিকরাও ছিলেন বৈঠকে। উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার প্রশাসনিক কর্তারা। এছাড়াও উত্তর ২৪ পরগনা , হাওড়া-সহ বেশ কিছু জেলার আধিকারিকরা ছিলেন এদিনের বৈঠকে। দূরের পুণ্যার্থীকে ভার্চুয়াল পদ্ধতির সুবিধা দেওয়া ছাড়াও কাছাকাছি যারা মেলায় আসবেন, তাদের ক্ষেত্রে কী নিয়ম মানতে হবে তাও এদিনের বৈঠকে চূড়ান্ত করা হয়।
এবার বাড়িতে বসে গঙ্গাস্নান করতে পারবেন পুণ্যার্থীরা। বৃহস্পতিবার নবান্নের বৈঠকে জানা গিয়েছে, এবার চালু করা হচ্ছে , ‘ ই – গঙ্গাসাগর মেলা ২০২১ ‘। এই মেলাতে এবার সশরীরে না পৌঁছেও করা যাবে ই – স্নান। এই অ্যাপের মাধ্যমে বুক করলে, বাড়িতেই পৌঁছে যাবে গঙ্গাসাগরের পবিত্র জল। ওই অ্যাপের মাধ্যমে দেখাও যাবে মেলা। এবার মেলার বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে ৬১ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকা। গত বছর ছিল ৩৯ কোটি ৩০ লক্ষ।
৫ জানুয়ারি থেকেই ভলান্টিয়ার, এনডিআরএফ, পুলিশ, কোস্ট গার্ড- সব রকমের নিরাপত্তারক্ষীদের মােতায়েন করা শুরু হবে। ড্রোন – ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হবে গােটা মেলা। গঙ্গাসাগর মেলা চত্বরে যে অস্থায়ী ছাউনি দেওয়া ঘর ও থাকার জায়গা তৈরি হয় কর্মী ও সাংবাদিকদের জন্য, সেগুলি বানানাের সময়ে সােশ্যাল ডিসট্যান্স মেনটেন করতে হবে। সকলকে মাস্ক পরতে হবে। পাশাপাশি, মেলায় যােগাযােগে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, পরিবহণ দফতরকে তা দেখতে হবে।
গঙ্গাসাগরের সঙ্গে সংযুক্ত সমস্ত রাস্তা দ্রুত সারাই করে ফেলতে হবে। এবারে মেলায় আরও বাড়তি তিনটি ওয়াটার অ্যাম্বুল্যান্স ও দুটি এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স রাখা হচ্ছে। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত তাকে নিয়ে পৌঁছে দেওয়া হবে হাসপাতালে। কোনও পুণ্যার্থী গঙ্গাসাগর মেলায় কোনও দুর্ঘটনার জেরে মারা গেলে ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ পাবে তার পরিবার।