আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ৫ ডিসেম্বর: আজ এবং আগামী কাল এই দুদিনের কর্মসূচি নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরে এসেছেন দিলীপ ঘোষ। আজ ভোরে এগরার বালিঘাইতে চায় পে চর্চা থেকে তাঁর কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এরপর তিনি কাঁথি কোর্টে তার বিরুদ্ধে চলা একটি কেসের হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন। পরে বিকেলে যোগ দেন রামনগরের সভায়।
বিজেপির কেন্দ্রের কৃষিবিলের সমর্থনে ও রাজ্যে কৃষক বঞ্চনার প্রতিবাদে ও কৃষি আইনের সমর্থনে কিষান সমাবেশ ও যোগদান কর্মসূচি হয় রামনগর আরএস অ্যাসোশিয়েশন ময়দানে। সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার, সহ সভানেত্রী মাফুজা খাতুন, কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী, রাজ্য কিষান মোর্চার সভাপতি অনাদি জানা, সহ একাধিক নেতৃত্বরা।
রামনগরে বিজেপির সভায় উপস্থিত ছিল কয়েক হাজার মানুষ। রামনগরের সভামঞ্চে রামনগর বিধানসভার প্রায় ৫ হাজার বিরোধী দলের নেতা কর্মী আনুষ্ঠানিক ভাবে দিলীপ ঘোষের হাত থেকে পতাকা নিয়ে বিজেপিতে যোগদান করে। একসঙ্গে এত মানুষের যোগদান এর আগে কখনও হয়নি বলে মনে করছেন বিজেপি নেতৃত্বরা। এই যোগদান ঐতিহাসিক যোগদান পর্ব হয়ে রইল বলে মন্তব্য বিজেপি নেতৃত্বের। সভা শেষে সাংবাদিক বৈঠক করে দিলীপ ঘোষ বলেন, এখানে স্থানীয় যারা বালি ও কয়লা মাফিয়া যারা তৃণমূলের ঝান্ডার তলায় দাঁড়িয়ে নানান অসামাজিক কাজ করছে, আজ বিজেপি শক্তিশালী হতেই সেই সমস্ত মাফিয়াদের আমাদের পেছনে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল ব্লক সভাপতি, বিধায়ক, জেলা সভাপতি প্রত্যেকেই এর সাথে যুক্ত। এবং এমন নিন্দনীয় কাজ তারা দীর্ঘদিন ধরে করে আসছেন বলে অভিযোগ দিলীপ ঘোষের। এছাড়াও তিনি বলেন, এখন কয়লা পাচার বন্ধ হওয়ার ফলে তারা বিজেপির ওপর আক্রমণ শানাচ্ছে। এমন ঘটনা যদি ঘটতে থাকে তবে মনে করব পশ্চিমবাংলায় সরকার বলে কিছু নেই। তিনি আরোও বলেন, তৃণমূলের মতো দলে ভদ্রলোক থাকতে পারে না, যে ভদ্রলোক আছে তারা আমার কথার প্রতিধ্বনি করছে। আমরা চাই এমন তাঁবেদারি করা রাজনীতি বন্ধ হোক। আমরা তৃণমূল মুক্ত বাংলা চাইছি, তাঁর মধ্যে যোগ্য মানুষ যাঁরা আছেন তাঁরা আসুন দলে। একসাথে নতুন পশ্চিমবঙ্গ গড়ার কাজে আমরা হাত লাগাব। আগামীকালও জেলায় কয়েকটি কর্মসূচি আছে দিলীপ ঘোষের।